টোকিও: টোকিও অলিম্পিক্সের পদক তালিকায় ৫৯ নম্বরে ভারত। রবিবার সিন্ধুর ব্রোঞ্জ জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই পদক তালিকায় আগের দিনের থেকে একধাপ এগিয়ে এল ভারত। অন্যদিকে পদক তালিকায় শীর্ষেই রয়েছে চিন। ভারোত্তোলনে মীরাবাঈ চানু রুপো জিতেছিলেন। এরপর থেকে আর ভারতের পদকের ঝুলি এতদিন বাড়েনি। এবার রবিবার সিন্ধুর ব্যাডমিন্টনে ব্রোঞ্জ জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই পদক তালিকায় একটু এগিয়ে এল ভারত।


এই মুহূর্তে  অলিম্পিক্সে চিনের দাপট চলছে। ২৪টি সোনা, ১৪টি রুপো ও ১৩টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৫১টি পদক জিতে তালিকার শীর্ষে রয়েছে চিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ২০টি সোনা, ২৩টি রুপো ও ১৬টি ব্রোঞ্জ। পদক তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে আয়োজক দেশ জাপান। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৭টি সোনা, ৫টি রুপো ও ৯টি ব্রোঞ্জ। 


অলিম্পিক্সে এবার অনেকের কাছেই পদকের আশা করা হয়েছিল। তার মধ্যে সিন্ধু ছাড়াও ছিলেন অমিত পাঙ্ঘাল, মণিকা বাত্রা, মেরি কম। কিন্তু এরা কেউই পারেননি এবার পদক নিয়ে আসতে। আর্চারিতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলার অতনু দাসও। শনিবার ব্যাডমিন্টনে সোনা জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেন সিন্ধু। এরপর এদিন ব্রোঞ্জ জয়ের লড়াইয়ে জয় হাসিল করে নেন তিনি। অলিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার পদক জিতলেন সিন্ধু।


সিন্ধু ছাড়াও হকিতে সাফল্য আসে এদিন। ৪৯ বছর পর অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে উঠল ভারতীয় পুরুষ হকি দল। গ্রেট ব্রিটেনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় ভারতীয় দল।


তবে দিনের শুরুতে এদিন অলিম্পিক্সে হেভিওয়েট বক্সিংয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেলেও মন জিতে নেন সতীশ কুমার। রক্তাক্ত অবস্থাতেও নাছোড় লড়াই করার জন্য। হেভিওয়েট বক্সিংয়ের (৯১ কেজি বিভাগ) কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সতীশের রিংয়ে নামা নিয়েই প্রবল সংশয় ছিল। কারণ, শেষ ষোলোর ম্য়াচে ডান চোখের ঠিক ওপরে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন ভারতীয় বক্সার। উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল শেষ ষোলোর ম্যাচের পরই। সেই ম্যাচ জিতলেও, প্রতিপক্ষের মারে মুখ ফেটেছিল ভারতের হেভিওয়েট বক্সার সতীশ কুমারের। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, সাত-সাতটি সেলাই পড়ে তাঁর ক্ষতস্থানে।