রাজারহাট: নাম সত্যেন দাস। পেশায় রিকশা চালক।নেশা বিভিন্ন দূরতম স্থানে অভিযান।এর আগে এই রিকশা নিয়ে তিনি পাড়ি দিয়েছেন সুদূর লাদাখে। এক বার নয়, দু'বার তিনি রিকশা নিয়ে গিয়েছেন লাদাখ। রবিবার তাঁর যাত্রাপথে নতুন স্থান সংযোজন হলো। এবার গন্তব্য অন্য স্থান।


 রবিবার তিনি রাজারহাট গোপালপুরের বাবলাতলা থেকে পাড়ি দিলেন নতুন গন্তব্যে। এবার যাচ্ছেন সিয়াচেন বর্ডারে।  এদিন  তাঁর এই যাত্রাপথের সূচনা হল। তাঁকে উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি।


আগের দুবারের মত এবারও প্যাডেল রিকশা চালিয়ে সিয়াচেন যাচ্ছেন বছর পঞ্চাশের সত্যেন দাস। এই অভিযাত্রী জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। তাঁর রোমাঞ্চকর কাহিনির উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘লাদাখ চলে রিকশাওয়ালা’ দেশি-বিদেশি বহু মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারও প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে তাঁর রিকশা। যাতে থাকবে পরিবেশ সচেতনতা ও গাছ লাগানোর বার্তা।


পাশাপাশি করোনা নিয়ে সচেতন বৃদ্বির জন্য মাস্ক বিলি করবেন। এদিন তাঁকে উৎসাহ জানতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও ভিন রাজ্যের অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় বাইকার ক্লাব ও গ্রুপের সদস্যরা।


সত্যেন দাসের এ ধরনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ৯০-এর দশকে। ১৯৯৩-র একটা ঘটনাই তাঁকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। স্থানীয় লোকজন একবার পুরীতে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন। আর এতে যোগদানের জন্য মাথাপিছু ৪০০ টাকা করে দিতে হতে। সত্যেন দাসের কাছে এত টাকা ছিল না। তিনি আয়োজকদের বলেছিলেন যাওয়ার সময় ২০০ টাকা দেবেন।ফিরে এসে বাকি দুশো টাকা দেবেন। কিন্তু আয়োজকরা রাজি হননি। হাল না ছেড়ে ভাইয়ের সাইকেল নিয়েই পাড়ি দিয়েছিলেন পুরী। সেই শুরু। আর পিছু ফিরে তাকাননি তিনি। এরপর বিভিন্ন জায়গায় প্যাডেলে চাপ দিয়েই পাড়ি জমিয়েছেন। রিকশ চালিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন লাদাখ।  দুমাসের রিক্সা চালিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন লাদাখ। যাত্রা পথে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার বার্তা নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন সত্যেন দাস।