টোকিও: টোকিও অলিম্পিক্সে করোনার হানা যেন কমছেই না। মঙ্গলবার অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে আরও ৪ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গেমস ভিলেজে। এরমধ্যে ২ জন অ্যাথলিটও রয়েছেন।


১ জুলাই থেকে এই নিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৫৫ তে। সোমবারই একজন ডাচ টেনিস প্লেয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার জন্য টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ডাবলসে তাঁর ম্যাচ ছিল। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে সরে দাঁড়াতে হয়।


এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার অনূধর্ব ২৩(পুরুষ) ফুটবল দলের তিন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনায় আক্রান্ত ওই তিন সদস্য- থাবিসো মোনইয়ানে(খেলোয়াড়), কামোহেলো মাহলাৎসি(খেলোয়াড়) ও ভিডিও অ্যানালিস্ট মারিও মাশহা। দৈনন্দিন পরীক্ষায় এই তিনজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল।


তবে দলের বাকি সদস্যদের ইতিমধ্যেই দুই বার নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সমস্ত বিধি-নিষেধ মেনে চলছেন। 



টিম সাউথ আফ্রিকার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ফাথো জোন্ডি জানান, টিম সাউথ আফ্রিকার প্রত্যেক সদস্যের সম্পূর্ণ মেডিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজনীয়তার কথা যোগ্যতা নির্ধারণের মাপকাঠি হিসেবে জানানো হয়েছিল। টোকিওর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে তাঁদের দুই সপ্তাহ আইসোলেশনে থাকার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া দৈনন্দিন স্বাস্থ্য মনিটরিং ও কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তা রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল। 


গত বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে হওয়ার কথা ছিল টোকিও অলিম্পিক্সের। কিন্তু, মারণ অতিমারীর জন্য তা পুরো এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। এ বছরও, অত্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ ও সতর্কতা অবলম্বন করে হচ্ছে এই গেমস। যদিও টোকিও অলিম্পিক গেমসের আয়োজক কমিটির প্রধান সিকো হাসিমোটো বলেছিলেন, 'যে কোনও কোভিড হানাকে রুখতে তৎপর আমরা। যদি কোনও ঘটনা ঘটেও থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।' কিন্তু এরপরেও টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পরেও করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ক্রমে বেড়েই চলেছে। এত কিন্তু চাপও বাড়ছে আয়োজকদের।