টোকিও : ইতিহাস গড়লেন লরেল হুবার্ড । তিনিই প্রথম রূপান্তরকামী যিনি অলিম্পিক গেমসে পারফর্ম করলেন। যদিও নিজের ১০ মিনিটের পারফরম্যান্সে হতাশ হুবার্ড। মহিলাদের +৮৭ কেজি ফাইনাল বিভাগে প্রতিযোগিতা করেন তিনি। লরেল বলেছেন, আমি সবসময় নিজের মতো থাকতে চেয়েছি। এখানে এসে আমি নিজের মতো প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারায় কৃতজ্ঞ।


নিউজিল্যান্ড থেকে এবার ভারোত্তোলক হিসেবে টোকিও অলিম্পিক্সে যোগ দেন ৪৩ বছরের লরেল হুবার্ড। তাঁকে নিয়ে কর্ম বিতর্ক দানা বাঁধেনি। কয়েকজন অ্যাথলিট এবং উইমেন্স রাইটস অ্যাডভোকেটস বলেছিলেন, হুবার্ডের অন্যায্য শারিরিক সুবিধা রয়েছে। টোকিও অলিম্পিক্সে তিনি যোগ দিলে মহিলাদের সঙ্গে বিশাল বৈষম্য তৈরি হবে। 


হুবার্ড বলেন, এই কারণেই আমি টোকিও অলিম্পিক্সে এসেছি। সব কিছু ঘটতে মাত্র এক মিনিট সময় লাগে। আমরা মনে হয়, ভারোত্তোলনে এটাই প্রকৃত পরীক্ষা।


অন্যদিকে রূপান্তরকামীদের কল্যাণে কাজ করা কর্মীদের যুক্তি, যাঁরা নিজেদের রূপান্তর ঘটান, সেইসব অ্যাথলিটের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে হরমোন থেরাপি। অসুবিধা হয় তাঁদের। প্রসঙ্গত, আট বছর আগে ৩৫ বছর বয়সে রূপান্তরকামীতে পরিণত হন লরেল। তার পর পুনরায় ভারোত্তোলন শুরু করেন। পরে অলিম্পিক্সে যোগ দানের যোগ্যতা অর্জন করেন। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির তরফে রূপান্তরকামী অ্যাথলিটদের জন্য বেশ কয়েক দফার সুপারিশের জেরে। 


সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় হুবার্ড বলেন, এই প্রতিযোগিতায় আমার যোগ দান করা নিয়ে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে তা আমি খুব একটা জানি না। আমি নির্দিষ্টভাবে আইওসি-কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি মনে করি, তারা অলিম্পিক্সের নীতি তুলে ধরতে পেরেছে। তারা প্রমাণ করেছে যে, খেলাধূলা সকলের জন্য। 


এর আগে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় সাফল্যের জেরে টোকিও অলিম্পিক্সেও হুবার্ডের পদক জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কারণ, এর আগে তিনি ২০১৭ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপোর পদক জেতেন। ২০১৯ সালে ওসিয়ানিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক পান।