কলকাতা: অলিম্পিক্সে ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাস রচনা করেছেন শাটলার পিভি সিন্ধু। সুশীল কুমারের পর একমাত্র ভারতীয় খেলোয়াড় তথা প্রথম ভারতীয় মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে পরপর দুটি অলিম্পিক্সে পদক জয়ের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সিন্ধু টোকিও অলিম্পিক্সে তাঁর পদক জয়কে তাঁর ও দেশের কাছে গর্বের মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা একেবারেই সহজ নয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে এবং সেইসঙ্গে বেড়েছে প্রত্যাশাও। 


সিন্ধু বলেছেন, এই সাফল্যের জন্য গত পাঁচ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। অতিমারীর কারণে অনুশীলন করতে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে ভারত সরকার ও ব্যাডমিন্টন কর্তৃপক্ষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।  


করোনা অতিমারীর কারণে এবার স্টেডিয়ামে দর্শক ছিল না। এ ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে সিন্ধু বলেছেন, দর্শকদের অভাব অবশ্যই অনুভূত হয়েছে। অতিমারীর কারণে সমর্থকরা মাঠে ছিলেন না। কিন্তু আমি জানতাম ভার্চুয়ালি তাঁরা রয়েছেন এবং আমার হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন ও শুভকামনা করছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। 


সিন্ধু জানিয়েছেন, এই সাফল্যের মুহুর্ত তিনি ধরে রাখতে চান। প্যারিসে খেলবেন এবং এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করবেন এবং নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।


ভারতের পুরুষ ও মহিলা-উভয় হকি দলই অলিম্পিক্সে সেমিফাইনালে উঠেছে। পদকের আশায় বুক বেঁধেছেন ভারতীয়রা। এই পরিস্থিতি ভারতের এই দুটি হকি দলের প্রতি তাঁর বার্তা কী হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে সিন্ধু বলেছেন, আমি উভয় দলকেই অভিনন্দন জানাই। আমি তাদের সাফল্য কামনা করছি। আমাদের দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলেছে।


উল্লেখ্য, রিও অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী সিন্ধু এবারও অলিম্পিক্সের শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন। তবে সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ায় তাঁর সোনা বা রুপোর পদক জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল। রবিবার ছিল ব্রোঞ্জের ম্যাচ। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই সেমিফাইনালের পরাজিতরা। হে বিং জিয়াওয়ের বিরুদ্ধে সিন্ধু প্রথম গেম জিতে নেন মাত্র ২৩ মিনিটে। ২১-১৩ ব্যবধানে। দ্বিতীয় গেমে চিনা প্রতিপক্ষ কিছুটা লড়াই করলেও শেষরক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় গেমও জিতে নেন সিন্ধু। দ্বিতীয় গেমের ব্যবধান সিন্ধুর পক্ষে ২১-১৫।