গতকাল প্রয়াত হন নাদকার্নি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে বর্তমান। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে ৪১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। টেস্টে তাঁর সংগ্রহ ৮৮টি উইকেট ও ১,৪১৪ রান। তাঁর প্রথম ও টেস্ট শেষ ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে কম রান দেওয়া অন্যতম বোলার। তিনি টেস্টে ৯,১৬৫টি বল করে ২,৫৫৯ রান দেন। ১৯৬৪ সালে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে ৩২ ওভারের মধ্যে ২৭ ওভারই মেডেন নিয়ে তিনি দেন মাত্র পাঁচ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯১টি ম্যাচে দশ হাজারেরও বেশি বল করে তিনি ৫০০ উইকেট নেন। তাঁর ইকনমি রেট ছিল মাত্র ১.৬৪। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর রান ৮,৮৮০। ১৪টি শতরান ও ৪৬টি অর্ধশতরান করেন তিনি।
উপরাষ্ট্রপতি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘বিখ্যাত ক্রিকেটার ও অলরাউন্ডার বাপু নাদকার্নির প্রয়াণের খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট ম্যাচে টানা ২১টি ওভার মেডেন বোলিং করার জন্যই তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
গাওস্কর শোকবার্তায় জানিয়েছেন, ‘অনেক বিদেশ সফরেই তিনি সহকারী ম্যানেজার হয়েছিলেন। তিনি সবসময় উৎসাহ দিতেন। তাঁর প্রিয় শব্দ ছিল, ছাড়বে না। তিনি যে সময় খেলতেন, তখন ভাল মানের গ্লাভস, থাই প্যাড পাওয়া যেত না। বলের আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত সরঞ্জামও ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি হাল ছাড়তেন না। বিদেশ সফরে তিনি সবসময় স্ট্র্যাটেজির বিষয়ে সাহায্য করতেন। মধ্যাহ্নভোজ বা চা-পানের বিরতিতে দল ফিল্ডিং করলে তিনি সবসময় অধিনায়ককে বা বোলারদের পরামর্শ দিতেন। ভারতীয় ক্রিকেট একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নকে হারাল।’
সচিনের ট্যুইট, ‘শ্রী বাপু নাদকার্নির প্রয়াণের খবর পেয়ে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। তাঁর টেস্টে টানা ২১ ওভার মেডেন নেওয়ার কথা শুনে বেড়ে উঠেছি। তাঁর পরিবার-পরিজনদের সমবেদনা জানাই। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’