অ্যান্টিগা: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারতীয় ক্রিকেট দল। অস্ট্রেলিয়াকে (australia) সেমিফাইনালে ৯৬ রানে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল তারা। অধিনায়ক হিসেবে দলকে একদম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শতরান হাঁকালেন যশ ধূল (yash dhull)। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রবি কুমার, নিশান্ত সিন্ধু, ভিকি ওস্টওয়ালদের। এই নিয়ে মোট ৮ বার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বাধিক ৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালে ইংল্য়ান্ডের মুখোমুখি হবে ভারতীয় দল।


২৯১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছিল। একটা ভাল শুরু অথবা একটা লম্বা পার্টনারশিপের দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু ভারতীয় বােলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারল না অজি ব্য়াটাররা। শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ১৯৪ রানে অল আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ভারতের হয়ে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন ভিকি ওস্টওয়াল। ২ টো করে উইকেট নেন রবি কুমার ও নিশান্ত সিন্ধু। ১টি করে উইকেট নেন আংক্রিশ রঘুবংশী ও কৌশল তাম্বে।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক যশ ধূল। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন আংক্রিশ রাঘুবংশী ও হরনূর সিংহ। কিন্তু কেউই বেশি রান করতে পারেননি। প্রথমজন ৬ রান করেন। দ্বিতীয় জন ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ১৬ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় ভারতের। ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। এরপরই পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন অধিনায়ক যশ ধূল ও সহ অধিনায়ক শাইক রশিদ। ১০টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১০ বলে ১১০ রান করেন তিনি। ১০৮ বলে ৯৪ রান করেন শাইক রশিদ। এরপর লোয়ার অর্ডারে নিশান্ত সিন্ধু ও দীনেশ বানা মিলে দলের স্কোর ২৯০ এ পৌঁছে দেন। 


এদিকে এদিনের প্রথম সেমিফাইনালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস (DLS) নিয়মে আফগানিস্তানকে (Afghanistan) ১৫ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের (ICC Under-19 World Cup) ফাইনালে পৌঁছল ইংল্যান্ড (England)। ২৪ বছর পর এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছল ইংল্যান্ড। এর আগে তারা শেষবার ১৯৯৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। সেবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ডই।