বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার দাবি, উমর আকমলকে তলব পিসিবি-র
ABP Ananda, web desk | 25 Jun 2018 04:43 PM (IST)
করাচি: তাঁকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানালেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার উমর আকমল। এরপরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখা (এসিইউ) তাঁকে তলব করেছে। আকমলের দাবি, হংকং সুপার সিক্সেস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ এবং ২০১৫-তে বিশ্বকাপের সময় তাঁর কাছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব এসেছিল। পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আকমল বলেছেন, ২০১২-তে হংকং সুপার সিক্সেস সিরিজের সময় তাঁকে প্রথমবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই সিরিজে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন তাঁর ভাই কামরান আকমল। আকমলের দাবি, “হংকং সুপার সিক্সেস সিরিজের দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের লিয়াজোঁ অফিসার আমার কাছে আসেন। ভোর তিনটে-চারটের সময় তিনি আমার রুমের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন। যদিও দরজায় ডু নট ডিসটার্ব বোর্ড লাগানো ছিল। তিনি আমাকে বলেন, ‘বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আপনার অ্যাকাউন্টে অর্থ দিয়ে দেওয়া হবে। যত অর্থ চান ততটাই দেওয়া হবে। আমরা আপনাকে হিরে, সোনা দেব। শুধু টুর্নামেন্টে খারাপ খেলতে হবে’। আমি রেগে গিয়ে তাঁকে চলে যেতে বলেছিলাম”। আকমল জানিয়েছেন, টিম ম্যানেজার না থাকায় তিনি তাঁর ভাই কামরানের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনা জানান। অধিনায়ক এরপর ঘটনাটি চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাচককে জানান। আকমল জানিয়েছেন, ওই প্রস্তাব পাওয়ার পর তিনি টুর্নামেন্টে আর না খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ভাই কামরান ও সোহেল তনভির এমনটা না করতে বলেন। আকমল জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ ও ২০১৫-র বিশ্বকাপেও এমন প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তাঁকে দু লক্ষ মার্কিন ডলারের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পিসিবি ও আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে বা সামান্যতম ইঙ্গিত পেলেও তা অবিলম্বে জানাতে হবে। শুধু ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকাই নয়, প্রস্তাব পেলে তা না জানানোও অপরাধ। আকমল জানিয়েছেন, ২০১৫-র বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের সময়ও তাঁকে এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, ‘যখনই ভারতের বিরুদ্ধে খেলেছি, তখনই প্রস্তাব পেয়েছি।লিয়াজোঁ অফিসারের পর্বের পর আমাকে টেলিফোনে প্রস্তাব দেওয়া হত। প্রতিবারই আমি পিসিবি-কে এ ব্যাপারে জানিয়েছিলাম’।