প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬৭ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। গত ৭১ বছরের ইতিহাসে অ্যাশেজে এটাই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। ৩৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটা সময় ২৮৬ রানে ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। তাদের পরাজয় তখন অবধারিত বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু অন্য রকম কিছু ভেবেছিলেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের ২৮ বছরের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টার ইনিংস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিল। তাঁর ইনিংসে ছিল ডিফেন্স ও পাল্টা আক্রমণের মিশেল। শেষপর্যন্ত তাঁর অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিল।
ম্যাচের পর স্টোকস বলেছেন, অবিশ্বাস্য, এটা আমি কখনওই ভুলব না।
বিশ্বকাপের ফাইনালেও তাঁর নায়কোচিত ব্যাটিং ইংল্যান্ডকে জয় এনে দিয়েছিল। স্টোকস বলেছেন, আমি পুরোদস্তুর চেষ্টা করেছিলাম। শেষপর্যন্ত সেই চেষ্টা সফল হল।
স্টোকস বলেছেন, এর আবার পুনরাবৃত্তি কখনও আবার হবে কিনা, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। ক্রিকেট পিচে দুটি সেরা অনুভূতির একটি হল এই ইনিংস, যা আমি কখনও ভুলতে পারব না।
ভুল বোঝাবুঝিতে জয় বাটলারের রান আউট ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছিল। স্টোকস বলেছেন, কখনও হাল ছাড়তে নেই। শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও কিছু শেষ হয় না। যখন লিচি ব্যাট করতে এল তখন কী করতে হবে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমাকে পাঁচটা বল খেলতে হবে, ওকে একটা। লিচ নিজের ভূমিকা ঠিকঠাক পালন করেছে।
২১৯ বলের ইনিংসে ১১ টি চার ও আটটি ছয় মেরেছেন স্টোকস। তিনি বলেছেন, অ্যাশেজ জয়ের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে ম্যাচটা জিততে হত। আর আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি।