নয়াদিল্লি: অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে একপেশে ম্যাচে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে পর্যুদস্ত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই নিয়ে চতুর্থবার জুনিয়র বিশ্বকাপ জয়ী হল ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে এবারের টুর্নামেন্টে অভিযান শুরু করেছিল পৃথ্বী শ-য়ের দল। আর সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই অভিযান শেষ করল ভারত। পুরো টুর্নামেন্টেই ভারতীয় দল বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছে। গ্রুপ লিগের ম্যাচগুলিতে যেভাবে খেলেছিল, তা দেখেই বিশেষজ্ঞরা কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের তত্ত্বাবধানে থাকা এই দলকে ফাইনালের আগেই অন্য দলগুলির তুলনায় শক্তিশালী বলে অভিহিত করেছিলেন। আজকের জয়কে ভারতীয় ক্রিকেটের ভিত্তি আরও মজবুত করল বলেই মনে করা হচ্ছে। যে কারণগুলির জন্য এই জয়কে এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে করা হচ্ছে, সেগুলি নিয়ে আলোচনা করলে প্রধানত চারটি বিষয় উঠে আসে।
সমস্ত বিপক্ষ দলগুলিকে অলআউট করেছে ভারত
ফাইনাল সহ যে কটি ম্যাচ টুর্নামেন্টে খেলেছে ভারত সেই ম্যাচগুলিতে প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে। দলের বোলার ও ফিল্ডারদের পরিশ্রমের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।প্রথম ম্যাচে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে ২২৮ রানে অল আউট করে দিয়েছিুল। পাপুয়া নিউ গিনি ৬৪ এবং জিম্বাবোয়ে ১৫৪ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। ভারতের সামনে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ ১৩৪ রানে এবং সেমিফাইনালে পাকিস্তান মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ায় ইনিংস খতম হয় ২১৬ রানে।
প্রত্যেক ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জয়


টুর্নামেন্টে সমস্ত ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতেছে ভারত। অর্থাত, ভারতের সামনে কোনও দলই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ভারত হারিয়েছিল ১০০ রানে। পাপুয়া নিউ গিনি ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারত ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতে। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ হারে ১৩১ রানে। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের ব্যবধান আরও বেশি-২০৩ রান। ফাইনালে ভারত জিতেছে ৮ উইকেটে।
ব্যাটসম্যানদের মজবুত টেকনিক
ভারতের পৃথ্বী শ, শুভমান গিল ও মনজোত কালরাদের ভবিষ্যতের তারকা বলে মনে করা হচ্ছে। শুভমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দারুণ টেম্পারমেন্টের পরিচয় দিয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। পৃথ্বীর শট খেলার দক্ষতায় মুগ্ধ বিশেষজ্ঞরা। ফাইনালে কালরা দেখিয়ে দিলেন, তিনিও কারুর চেয়ে কম নন।
১৪০ কিমির বেশি গতির দুই বোলার নজর কেড়েছেন
একটা সময় স্পিন বোলিংকেই ভারতের শক্তি মনে করা হত। কিন্তু এখন ভারতে জোরে বোলারদের দাপট। অনূর্দ্ধ ১৯ দলও এর ব্যতিক্রম নয়। দুই ফাস্ট বোলার কমলেশ নাগরকোটি এবং শিবম মাভি বিপক্ষ দলগুলির ব্যাটসম্যানদের গতিতে নাজেহাল করে ছেড়েছেন। দুই বোলারই ১৪৫ কিমির আশেপাশে গতিতে বোলিং করতে পারেন। গতি ছাড়াও লাইন ও লেংথের বৈচিত্র্যও রয়েছে তাঁদের। টুর্নামেন্টে নাগরকোটির কোনও কোনও বলের গতি ১৪৯ কিমিতে পৌঁছে গিয়েছিল। তাঁর বোলিংয়ে মুগ্ঘ ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার ইয়ান বিশপও।
সবমিলিয়ে অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ দেখিয়ে দিল ভারতের ক্রিকেট এগোচ্ছে সঠিক পথেই।