জোহানেসবার্গ: কেপ টাউনে কুখ্যাত বল-বিকৃতিকাণ্ডে স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফটকে দোষী সাব্যস্ত করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বুধবারের মধ্যে তিনমূর্তিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বদলি হিসেবে দলে যোগ দিচ্ছেন রেনশ, ম্যাক্সওয়েল ও বার্নস। তবে, এখনও হয়নি সাজা ঘোষণা। যদিও, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ক্লিনচিট পেয়ে গিয়েছেন কোচ ড্যারেন লেম্যান। ‘তিনি কিছু জানতেন না’, বলছে অসি ক্রিকেট বোর্ড। অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক হলেন টিম পেইন।
এর আগে ওয়ার্নারকে নিয়ে দিনভর নাটক অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। তাঁকে দেশের জার্সিতে ২২ গজে আর নামতে দেখা যাবে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, কেপ টাউন টেস্টে ড্রেসিং রুমে ওয়ার্নারই হলুদ টেপ দিয়ে বল-বিকৃতির বুদ্ধি দিয়েছিলেন। তাতে সায় দেন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
কিন্তু, এই অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দেন ওয়ার্নার স্বয়ং। অসি সংবাদমাধ্যমে ওয়ার্নার-ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ‘গোটা দল বিষয়টা জানত। আরও ভাল করে জানতেন দলের ফাস্ট বোলারেরা। পরিকল্পনা ছিল, এই নিয়ে কেউ যদি বিতর্কে জড়ায়, তাহলে গোটা দল তার দায় নেবে।’
আর, তাঁর এই উক্তিতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা দল। ক্ষুব্ধ পেসাররা। তাঁর সঙ্গে ২২ গজে নামতে চান না দলের আর কোনও ক্রিকেটারই। সূত্রের খবর, যখন স্মিথ ও ব্যানক্রফট বল-বিকৃতির কথা স্বীকার করছিলেন, তখন নিজের বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করছিলেন ওয়ার্নার। তাঁর এই আচরণ আরও চটিয়েছে তাঁর সতীর্থ ও টিম ম্যানেজমেন্টকে।
স্মিথ, ওয়ার্নারদের উপর নেমে আসতে পারে বড়-সড় শাস্তির খাঁড়া। দেশের হয়ে তো বটেই আইপিএলেও তাঁদের খেলা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন। পরিস্থিতি যা, তাতে নিজেদের তৈরি রাখছে সানরাইজার্স। ওয়ার্নার ছাড়াও অসুবিধা হবে না, বলছেন সানরাইজার্সের ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা।