রাঁচি: রেকর্ড ওপেনিং পার্টনারশিপ। প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৪২৬/৪ তোলা। এবং সার্ভিসেসকে ৪৭ রানে হারানো। তার পরেও স্বস্তিতে থাকতে পারছে না বাংলা। বিজয় হাজারে ট্রফির নক আউটে ওঠা এখনও ঝুলে রইল। বাংলাকে তাকিয়ে থাকতে হবে মুম্বই বনাম রেলওয়েজ ম্যাচের ফলের দিকে। ২৩ নভেম্বর যে ম্যাচ হবে।


বিজয় হাজারে ট্রফির (Vijay Hazare Trophy) গ্রুপ ই-তে ৫ ম্যাচের সবকটি জিতে ২০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে মহারাষ্ট্র। তাদের শেষ ম্যাচ পুদুচেরির সঙ্গে। সেই ম্যাচে হেরে গেলেও গ্রুপ শীর্ষে থেকেই নক কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে মহারাষ্ট্র।


বিজয় হাজারে ট্রফির ফর্ম্যাট অনুযায়ী, ৫টি গ্রুপের ৫ সেরা দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। ৫টি দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল ও একটি সেরা তৃতীয় দল প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। সেখান থেকে তিনটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেবে।


সবকটি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে বাংলার। ৬ ম্য়াচে ১৬ পয়েন্ট অভিমন্যু ঈশ্বরণদের। আপাতত পয়েন্ট টেবিলে ২ নম্বরে রয়েছে বাংলা। একটি ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে মুম্বই। ১২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়েছে রেলওয়েজ। পুদুচেরি, সার্ভিসেস ও মিজোরাম নক আউটের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে।


২৩ নভেম্বর মুম্বই যদি রেলওয়েজকে হারিয়ে দেয়, তাহলে নক আউটে পৌঁছে যাবে তারা। সেক্ষেত্রে ১৬ পয়েন্ট হবে মুম্বইয়ের। বিজয় হাজারে ট্রফির নিয়ম মেনে হেড টু হেডেও বাংলার চেয়ে এগিয়ে মুম্বই। যেহেতু গ্রুপ পর্বে বাংলাকে হারিয়েছিল মুম্বই। সেক্ষেত্রে বাংলার বিদায় নিশ্চিত। কারণ, সেরা তৃতীয় দল হতে পারবেন না অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। কারণ, গ্রুপ বি-তে ঝাড়খণ্ড ২০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে।


সেদিন যদি মুম্বই হেরে যায়। তাহলে আশা থাকবে বাংলার। সেক্ষেত্রে রেলওয়েজের পয়েন্ট সমান হলেও হেড টু হেডে এগিয়ে থাকবেন মনোজ তিওয়ারি-অনুষ্টুপ মজুমদাররা।


সোমবার টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং নিয়েছিল সার্ভিসেস। বাংলা ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ে। সেঞ্চুরি করেন দুই ওপেনারই। ১২৯ বলে ১৬২ রান করেন সুদীপ ঘরামি। অন্য ওপেনার তথা অধিনায়ক অভিমন্যু ১২৩ বলে ১২২ রান করেন। ৪০.৪ ওভারে দুই ওপেনার ২৯৮ রান যোগ করেন। যা বাংলার হয়ে রেকর্ড। তিন নম্বরে নেমে ২৮ বলে ৫৯ রান করেন শাহবাজ আমেদ। ঋত্বিক রায়চৌধুরী ১২ বলে ৩১ রান করেন। ৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন মনোজ তিওয়ারি। বাংলা তোলে ৪২৬/৪।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে সার্ভিসেস শুরুতে রবি চৌহানের (১৭) উইকেট হারালেও, পাল্টা লড়াই শুরু করে। ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন শুভম রোহিল্লা। অংশুল গুপ্ত ৪৮ বলে ৫১ রান করেন। হাফসেঞ্চুরি করেন রজত পালিওয়াল (৬৫), অর্জুন শর্মা (৭৫) ও দেবেন্দ্র লোচাব (৫৮)। ৩৭৯/৯ স্কোরে আটকে যায় সার্ভিসেস। বাংলা ম্যাচ জেতে ৪৭ রানে।


আরও পড়ুন: ঝাঁ চকচকে রুম, কাতারে মেসির অন্দরমহলে উঁকি মারবেন?