তিরুঅনন্তপুরম: একসময় তাঁর সমর্থনে গলা ফাটাত গোটা বাংলা। ইডেনে তিনি ব্যাট হাতে নামা মানেই গ্যালারির গর্জন বেড়ে যেত কয়েকগুণ। তাঁর মারা প্রতিটি চার ও ছক্কায় উৎসব শুরু হয়ে যেত মাঠে। আর ক্লাব হাউস সংলগ্ন বি ব্লকের দোতলার ব্য়ালকনিতে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতেন শাহরুখ খান।
কারণ, দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) ছিলেন আইপিএলে কলকাতার দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক। কেকেআরের জার্সিতে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। সেই কার্তিকের ব্যাটই শনিবার অন্ধকার নামাল বাংলা শিবিরে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলাকে ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল তামিলনাড়ু। সেই জয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন কার্তিক। পাঁচ নম্বরে নেমে ৯৫ বলে ৮৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন তিনি। কার্তিকের ব্যাটের শাসনে প্রথমে ব্যাট করে তামিলনাড়ু তুলেছিল ২৯৫/৮। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৯.১ ওভারে মাত্র ১৪৯ রানে অল আউট হয়ে গেল বাংলা।
শনিবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। বাংলার বোলাররা শুরুটা ভাল করেছিলেন। মুকেশ কুমারের বলে মাত্র ১২ রান করে তামিলনাড়ুর ওপেনার এস সুদর্শন যখন ফেরেন, স্কোরবোর্ডে ৮.২ ওভারে মাত্র ২২ রান উঠেছে। অর্থাৎ, ওভার প্রতি তিন রানেরও কম উঠছে। মুকেশের পরের বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কোনও রান না করে। এন জগদিশান যখন ফেরেন, ১৭.৫ ওভারে তামিলনাড়ুর স্কোর ৫৫/৩। ম্যাচে তখন বাংলারই আধিপত্য।
কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন বাবা ইন্দ্রজিৎ ও কার্তিক। ইন্দ্রজিৎ ৭৩ বলে ৬৪ রান করেন। কার্তিক আউট হন ৮৭ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও দুটি ছক্কা। শেষের দিকে জে কৌশিক ৩১ বলে ৫০ ও শাহরুখ খান ১২ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তিনটি করে উইকেট নেন মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে লজ্জার অভিজ্ঞতা হয় বাংলার। ১০.৫ ওভার বাকি থাকতেই অল আউট হয়ে যায় দল।
এই ম্যাচ হেরে বাংলার নক আউটে ওঠার স্বপ্নও জোরাল ধাক্কা খেল।