মোহালি: প্রায় তিন বছর হতে চলল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটিও শতরান নেই। চলতি ভারত-ইংল্যান্ডের সাদা বলের সিরিজে তাঁর ব্যাট না চললে, জাতীয় দল থেকে তিনি বাদ পড়তে পারেন বলেও জল্পনা শোনা যাচ্ছে। তবে আজ থেকে কয়েক বছর আগেও বিরাট কোহলি (Virat Kohli) মানেই ছিল ম্যাচ জেতানো, অবিশ্বাস্যকর ইনিংস।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা মুহূর্ত
ছয় বছর আগে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকেই বেরিয়ে এসেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের ‘সেরা’ মুহূর্ত। ২০১৬ সালে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের এক ম্যাচে ৫১ বলে অপরাজিত ৮২ রানের একটি অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন ‘কিং কোহলি’। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল নয়টি চার ও দুইটি ছক্কায়। কার্যত এক নক আউট ম্যাচে ১৬১ রান তাড়া করতে নেমে আট ওভারের মধ্যেই ৪৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বিরাট চাপে ছিল ভারত। ঠিক সেই সময়েই দলকে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে, প্রতিআক্রমণ শুরু করেন কোহলি।
প্রথমে যুবরাজ সিংহের সঙ্গে ৩৮ বলে ৪৫ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়েন কোহলি। ১৪ ওভারে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৯৪ রান, চার উইকেটের বিনিময়ে। এরপরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্যাটিং মাস্টারক্লাস দেন তিনি। ৩১ বলে ৬৭ রান যোগ করেন দুই ভারতীয় তারকা। ধোনি-কোহলির পার্টনারশিপে যেমন বাউন্ডারি ফুলঝুরি দেখা যায়, তেমনই ছিল দুর্দান্ত গতিতে ছুটে এক রানকে দুই, দুইকে তিন করার অদম্য প্রাণশক্তি। পরিণামে পাঁচ বল বাকি থাকতেই, ছয় উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় ভারতীয় দল।
কোহলির এই ইনিংসকেই বছরখানেক আগে সমর্থকরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা মুহূর্ত নির্বাচিত করেন। কোহলির এই ইনিংস সেই বিশ্বকাপেরই ফাইনালে কার্লোস ব্রাথওয়েটের চার বলে চার ছক্কার মুহূর্তকে পিছনে ফেলে সেরা হয়।
‘ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট‘ কোহলি
২০১৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪৭ বলে ৮৯ রানের আরও একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। অবশ্য ভারতীয় বোলাররা ওই ম্যাচে ১৯২ রান ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে সেমিতেই বিদায় নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে পাঁচ ম্যাচে ১৩৬.৫০-র গড় ও ১৪৬.৭৭-র স্ট্রাইক রেটে কোহলি মোট ২৭৩ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ছন্দে ফিরতে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে বিখ্যাত বানানা স্যুইং করা পেসারের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি কোহলির