নয়াদিল্লি: ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে শেষ শতরান এসেছিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ব্যাট থেকে। তারপর প্রায় তিন বছর হতে চলল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও পরবর্তী শতরানের অপেক্ষায় রয়েছেন ‘কিং কোহলি’। ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এবার এই বিষয়ে নিজের মুখ খুললেন কপিল দেব।


জল্পনা অনুযায়ী সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে কোহলির ভবিষ্যৎ নাকি চলতি ইংল্যান্ড সিরিজে তাঁর পারফরম্যান্সের উপর নির্ভরশীল। এই বিষয়ে কপিল দেব একেবারে স্পষ্টবাক। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের দাবি আইসিসির ক্রমতালিকায় বিশ্বের দুই নম্বর টেস্ট বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin দলকে বাদ দেওয়া গেলে কোহলিকেও বাদ দেওয়া সম্ভব।


এক নম্বর ব্যাটারকেও বাদ দেওয়া সম্ভব


তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ভারতকে হয়তো টি-টোয়েন্টি দল থেকে কোহলিকে বাধ্য হয়েই বাদ দিতে হবে। ওকে আরও ভাল পারফর্ম করতে হবে। যদি দুই নম্বর বোলার অশ্বিনকে দল থেকে বাদ দেওয়া যায়, তাহেল বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটারকেও বাদ দেওয়া যেতে পারে। বিরাটের এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। ওকে দল থেকে বাদ দেওয়ার অর্থ পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা নয়। বর্তমানে তরুণরা ভাল পারফর্ম করছে, তাই ওকে বাদ দেওয়া যেতেই পারে। তবে ও রানে ফিরলে ওকে বাতিলের খাতায় রেখে দেওয়া কি আদৌ সম্ভব?’


তরুণদের সুযোগ প্রাপ্য


সদ্য আয়ার্ল্যান্ড সিরিজে কোহলিরা খেলেননি। একগুচ্ছ সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে দীপক হুডা, সঞ্জু স্যামসনরা ভারতীয় দলের হয়ে ভালই পারফর্ম করেছেন। মূলত তরুণদের আগমনেই কোহলির ভারতীয় দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে যত প্রশ্ন। এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। গত বছরের টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পর এবার ভাল পারফর্ম করতে মরিয়া ভারতীয় দল। তাই সকল ভারতীয়র পারফরম্যান্সের উপরেই বাড়তি নজর রয়েছে।


কপিলের মতে শুধু নাম দিয়েই হবে না, তরুণদের আগমনে কোহলিকে সেরা ব্যাটার হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেই জাতীয় দলে জায়গা পেতে হবে। ‘কোহলি একসময় একের পর এক ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতেন বটে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ছন্দে নেই। এই অবস্থায় তরুণদের দলের বাইরে রাখার মানে হয় না। কোহলির ভাবা উচিত যে কী ভাবে ও নিজেকে আবারও এক নম্বর ব্যাটার হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে।’ মতামত কপিলের।


আরও পড়ুন: কোহলির স্লেজিংয়ে তিতিবিরক্ত বেয়ারস্টো ড্রেসিংরুমে পৌঁছেই বলে ফেলেছিলেন...