সেঞ্চুরিয়ন: গাব্বায় ঐতিহাসিক জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল বছর। সেঞ্চুরিয়নে আরেক ঐতিহাসিক জয় দিয়ে শেষ হল বছরটা। ভারতীয় ক্রিকেট দলের (indian cricket team) গোটা বছরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআইয়ের (bcci) ভিডিও বার্তায় বিরাট বলেন, ''নতুন বছরটা শুরুর আগে খুবই ভাল সময় এটা যে পুরো বছরের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ণ করার। আর আমি মনে করি যে অসাধারণ কিছু ক্রিকেট আমরা খেলেছি এই বছরে। এছাড়াও গত ২-৩ বছরেও আমরা দেশে ও বিদেশের মাটিতে দুর্দান্ত কিছু পারফর্ম করেছি। আমরা এমন একটা দল যারা প্রতিনিয়ত খেলেছি, শিখেছি ও উত্তরোত্তর ভাল পারফর্ম করে গিয়েছি। দারুণ লাগছে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে পেরেছি। ওয়ান্ডার্সের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।''


 






২০২০ বছর শেষ হয়েছিল বেনজির কলঙ্কে। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ম্যাচ হারতে তো হয়েছিলই, সঙ্গী হয়েছিল একরাশ লজ্জা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো, এই ম্যাচের পরই পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কারণ, তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা সন্তানসম্ভবা ছিলেন। বাকি সিরিজের জন্য নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় অজিঙ্ক রাহানেকে। ১-০ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় টেস্ট সিরিজে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটায় ভারত। সিরিজ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। ক্রিকেটের রূপকথায় জায়গা করে নিয়েছে ভারতের সেই সাফল্য।


বছরের শেষে সেঞ্চুরিয়নে ইতিহাস গড়ে জয়। এশিয়ার একমাত্র দল হিসেবে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তাঁদেরই দেশে গিয়ে সেঞ্চুরিয়নে জয় হাসিল করে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১১৩ রানে জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের (Test) পঞ্চম তথা শেষ দিনে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস ১৯১ রানে গুটিয়ে দিয়ে তিন টেস্টের সিরিজে ১-০ লিড নিল ভারত। ৪ উইকেট খুইয়ে ৯৪ রানে দিনের খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah), মহম্মদ শামিদের (Mohammed Shami) দাপটে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তাদের লড়াই। বুমরাহ ও শামি ৩ টি করে এবং মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) ২ টি করে উইকেট দখল করেন।


ম্যাচের সেরা কেএল রাহুলের (১২৩) (KL Rahul) দুরন্ত শতরানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩২৭ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে শামি আগুনে বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ১৯৭ রানে শেষ করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়া শামির সুইংয়ে ভর করেই প্রথম ইনিংসে মূল্যবান ১৩০ রানের লিড  পায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর না পেলেও ১৭৪ রান তুলে প্রোটিয়াদের সামনে ৩০৫ রানের কঠিন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলেন। লড়াই চালানোর চেষ্টা করলেও ভারতীয় পেসারদের দাপটে ১৯১ রানেই দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের যাবতীয় প্রতিরোধ শেষ হয়ে যায়।