মোহালি: মানসিকভাবে পরিণত হওয়া এবং সহজে বিপক্ষকে উইকেট না দেওয়ার জেদই বিরাট কোহলিকে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে এত সাফল্য এনে দিচ্ছে। নিজেই এই কথা বলেছেন ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক।

মোহালিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অপরাজিত শতরান করে দলকে জেতানোর পর কোহলি বলেছেন, ‘আমি জানি, বিপক্ষ চায় আমি দ্রুত আউট হয়ে যাই। সেই কারণেই আমি ব্যাট করতে নেমে কিছুটা সময় নিই, ম্যাচের ধারার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিই, তারপর বিপক্ষের বোলারদের আক্রমণ করি। তার জন্য পার্সেন্টেজ ক্রিকেট খেলতে হয়। আমি জানি, ভাল শট খেলেও রান করা যায়।’

একদিনের ক্রিকেটে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন কোহলি। ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক ইতিমধ্যেই রান তাড়া করার সময় শতরানের হিসেবে সচিন তেন্ডুলকরকে ছুঁয়ে ফেলেছেন। রান তাড়া করার সময় ১২৪ ইনিংসে ১৪টি শতরান ছিল সচিনের। মাত্র ৫৯ ইনিংসেই সেই রেকর্ড স্পর্শ করে ফেলেছেন কোহলি। তিনি ক্রিকেটের তিনটি ফর্ম্যাটেই অসাধারণ ফর্মে আছেন। তবে রান তাড়া করতে নামলেই যেন আরও ক্ষুরধার হয়ে উঠেছে তাঁর ব্যাটিং।

রবিবার মোহালিতে ২৮৫ রান তাড়া করতে নেমে কোহলির অপরাজিত ১৫৪ এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ৮০ রানের সৌজন্যে ১০ বল বাকি থাকতেই জিতে গিয়েছে ভারত। ধোনির সঙ্গে ১৫১ রানের পার্টনারশিপের পর মণীশ পান্ডের সঙ্গে ৯৭ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি। শেষ তিন ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৩ রান। এই অবস্থায় কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে তিনটি চার একটি চার মেরে ওই ওভারেই ২২ রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন কোহলি।

টেস্ট সিরিজে দ্বিশতরানের পর একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচেও অপরাজিত ৮৫ রান করে ভারতকে জেতান কোহলি। এবার তৃতীয় ম্যাচেও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেন তিনি। এই ইনিংস প্রসঙ্গে কোহলি বলেছেন, ‘অতীতে আমি বেশি উত্তেজিত হয়ে যেতাম। পরে বুঝতে পেরেছি, টাইমিং ভাল হলে এবং গ্যাপে বল পাঠাতে পারলে আমার শটের বেশি দাম পাব। সতীর্থরাও একই কথা বলেছে। একজন বোলার যদি ধারাবাহিকভাবে বল করে যেতে পারে, তাহলে একজন ব্যাটসম্যানও ধারাবাহিক হতেই পারে।’

রবিবার অবশ্য ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন কোহলি। মাত্র ৬ রানের মাথায় ম্যাট হেনরির বলে তাঁর ক্যাচ ফেলেন রস টেলর। এ প্রসঙ্গে কোহলি বলেছেন, ‘রস টেলরের জন্য খারাপ লাগছে। ক্যাচ ফেলার পর সেই ব্যাটসম্যান যদি বড় রান করে, তাহলে কতটা খারাপ লাগে আমি জানি। ওয়েলিংটনে আমি ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ক্যাচ ফেলার পর ও ৩০০ রান করেছিল।’

ধোনির সঙ্গে পার্টনারশিপের পাশাপাশি মণীশেরও প্রশংসা করেছেন কোহলি। তাঁর মতে, এই দুটি পার্টনারশিপই ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছে।