মেলবোর্ন: ঠিক এক, দেড়মাস আগেও পরিস্থিতি একদম অন্য়রকম ছিল। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকানোর আগে পর্যন্ত বিরাট কোহলিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় স্কোয়াডে রাখা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। একের পর এক ফ্লপ ইনিংস। প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় সেঞ্চুরি নেই। নেতৃত্ব যাওয়া। সময়টাও খারাপ যাচ্ছিল কিং কোহলি। যদিও এখন ছবিটা একদম বদলে গিয়েছে। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনটি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন এরমধ্যেই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৮২ রান বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ইনিংস ধরা হচ্ছে। কিন্তু এই খারাপ সময়ে কীভাবে কাটিয়ে উঠলেন কোহলি? প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সিংহভাগ কৃতিত্ব দিচ্ছেন তাঁর পূর্বসূরি মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। হ্যাঁ, মাহির থেকে পাওয়া বার্তাই বদলে দিয়েছিল বিরাটকে।
কী বলেছিলেন ধোনি?
বিরাট আরসিবির পডকাস্টে জানান, ''খারাপ সময় ধোনিই আমাদের সাহস জুগিয়েছিল। আমি যে পারব সেই আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিল। আমি সব সময়, একজন আত্মবিশ্বাসী, মানসিকভাবে শক্তিশালী কাউকে চেয়েছিলাম। যে এই কঠিন সময় আমাকে পথ দেখাবে। কখনও কখনও অতীতে যেতে হয়। বর্তমানে কেমন কাজ করছি, সেটা দেখার জন্যও জরুরি। তিনি আমার চেয়ে সিনিয়র, কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার পারস্পরিক সম্পর্কও দারুণ। আমার ও ধোনির মধ্যে এমন বন্ধুত্ব রয়েছে যার ভিত্তিই হলো পারস্পরিক সম্মান।''
https://www.youtube.com/watch?v=xifUbepUGbQ
বিরাটের সেলিব্রেশন
জিম্বাবোয়ের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম বলেই ওয়েসলি মাধেভেরেকে সাজঘরে ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার। তবে এই উইকেটে বিরাটের কৃতিত্বও কম নয়। শর্ট কভারে দাঁড়িয়ে থাকা বিরাট কোহলি ঝাঁপিয়ে পড়ে মাধেভেরের হাওয়ায় মারা বল ধরেন। আউট হন জিম্বাবোয়ে ওপেনার। এই দুরন্ত ক্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই বিরাটের ভারতীয় দলের সদস্যরা তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে মাতেন। বিরাট নিজেও দারুণ খুশি হন এবং ক্যাচের ধরে স্যালুটের মাধ্যমে তা সেলিব্রেটও করেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। বিরাটের এই সেলিব্রেশন মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়ে যায়।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য ব্যাট হাতে বড় রান পাননি বিরাট। ২৫ বলে মাত্র ২৬ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। যদিও তাতে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ কোনও সমস্যায় পড়েনি। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বড় জয় ছিনিয়ে এখন সেমিফাইনালে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার সামনে ইংল্যান্ড।