শুরুটা অবশ্য করেছিলেন জাডেজাই। তাঁর অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি অধিনায়ককে ট্রোল করার চেষ্টা করেছিলেন। আর পুরোটাই ডিসিসন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়ে। একটি রিভিউ নেওয়ার আগ্রহের উল্লেখ করে অধিনায়ককে ট্রোল করেন তিনি।
কোহলি ও জাডেজা দুজনেই দুরন্ত ক্রিকেটার। কিন্তু তাঁদের দুজনেরই মাঠে রিভিউ নেওয়ার দক্ষতা বারেবারেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁরা প্রায়শই সফল হন না। এক্ষেত্রে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যতটা সফল, কোহলি কিন্তু ততটা নয়। মাঠে ধোনি থাকলে কোহলি এক্ষেত্রে সবার আগে তাঁরই মত জানতে চান।
যাইহোক, জাডেজা প্রায় সব সময়ই কোহলিকে রিভিউ নিয়ে রাজি করিয়ে ফেলেন। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত সঠিক হয় না। কাজেই রিভিউ-র সুযোগ খোয়াতে হয় দলকে।
কোহলি ও নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন জাডেজা। ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে যে, বোলারের থেকে অধিনায়কই রিভিউ নিতে বেশি উত্সুক। ক্যাপশনে জাডেজা লিখেছেন, ‘দেখো ভাই, আমি কিন্তু রিভিউ নিতে বলিনি’।
ছবিতে কোনও একটি টেস্ট ম্যাচে ভারতের অধিনায়ককে রিভিউ নিতে দেখা যাচ্ছে।
ছবি আপলোড করে জাডেজা খোঁচা দেওয়ার পর জবাব দিতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেননি কোহলি। তিনি লিখেছেন, ‘তোর তো সবসময় আউটই মনে হয়। রিভিউ নেওয়ার পরই তোর সন্দেহ হতে শুরু করে’।
বিরাট ও জাডেজার এই খুনসুটি দেখে অনুরাগীরা হাসি চাপতে পারেননি।
আসলে এই দুই ক্রিকেটার মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো। অনূর্ধ্ব ১৯-র সময় থেকে একসঙ্গে খেলছেন তাঁরা। ২০০৮-এ কোহলির নেতৃত্বাধীন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন জাডেজা।