আইসিসি-র ওয়েবসাইটে সৌরভ লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে এত বেশিরকমভাবে জয় পেতে চাইছিল বিরাট, আবেগ ওর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলে। এই সিরিজ থেকে ও শিক্ষা পাবে। আমি আশা করি ওর মতো অসাধারণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার নিশ্চয়ই শান্ত হবে এবং আবার বড় রান করবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজে তিনটি টেস্টে খেলেছেন বিরাট। রান যথাক্রমে ০, ১৩, ১২, ১৫ ও ৬। বড় রান করতে না পারার পাশাপাশি বিতর্কেও জড়িয়েছেন ভারতের অধিনায়ক। তবে বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে সৌরভ বলেছেন, ‘আমি বিরাটকে দুভাবে দেখি। একজন অধিনায়ক, অন্যজন ব্যাটসম্যান। ব্যাটসম্যান বিরাট বিশ্বের অন্যতম সেরা। ওর ফিটনেস যেমন ভাল, তেমনই রানের খিদেও আছে। অধিনায়ক বিরাট রোজ জিততে চায়। এক নম্বর হওয়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে চায় না ও।’
বিরাট ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পাশাপাশি লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাডেজা, উমেশ যাদবরাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে ভাল পারফরম্যান্স দেখানোয় খুশি সৌরভ। তাঁর মতে, বিশ্বের যে কোনও দেশেই জেতার ক্ষমতা আছে ভারতের। বিদেশে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন চেতেশ্বর পূজারা।
ধর্মশালা টেস্ট প্রসঙ্গে সৌরভ বলেছেন, ‘তৃতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের সময় আমি বাড়িতে বসে খেলা দেখছিলাম। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করে। পরের দু ঘণ্টায় উমেশ যাদব ও ভুবনেশ্বর কুমার যেভাবে পেস বোলিংয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে তুলল, সেটা দেখে বিরাটের জন্য আমার খুব আনন্দ হয়েছে। যে পরিবেশ-পরিস্থিতিতে ভারতের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার বেশি সুবিধা পাওয়ার কথা, সেখানেই সবচেয়ে স্মরণীয় জয় পেয়েছে ভারত। অসিরা যে খেলায় দক্ষ, সেটাতেই ওদের হারানো নিশ্চিতভাবেই বিরাটের অধিনায়কত্বে নতুন মোড় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’