নয়াদিল্লি: আইপিএল-এ পারফরম্যান্স যতই খারাপ হোক না কেন, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার সময় সম্পূর্ণ অন্য মূর্তিতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ভারতের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে তিনি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। অথচ কিছুদিন আগেই হওয়া আইপিএল-এ কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে তিনি এই পারফরম্যান্সের ধারেকাছেও ছিলেন না। এই বিপরীতমুখী ভূমিকার জন্য ভারতের প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র সহবাগের তোপের মুখে ম্যাক্সওয়েল।


একটি সাক্ষাৎকারে ম্যাক্সওয়েলের তীব্র সমালোচনা করে সহবাগ বলেছেন, ‘ম্যাক্সওয়েল যখন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলে, তখন ওর মনোভাব বদলে যায়। কারণ, ও জানে দলে জায়গা নিরাপদ নয়। দু’তিনটি ইনিংসে রান না পেলেই ও অস্ট্রেলিয়া দল থেকে বাদ পড়ে যাবে এবং তারপর ফিরে আসা কঠিন হবে। কিন্তু আইপিএল-এ সেটা হয় না। সেই কারণেই ও আইপিএল-কে সমান গুরুত্ব দেয় না।’

এবারের আইপিএল-এ ১৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ১০৮ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল। এবারের আইপিএল-এই তাঁর পারফরম্যান্স সবচেয়ে খারাপ। অথচ ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে তিনি যথাক্রমে ৪৫, ৬৩ অপরাজিত ও ৫৯ রান করেন। টি-২০ সিরিজে তাঁর রান যথাক্রমে ২, ২২ ও ৫৪। সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে ম্যাক্সওয়েলের বড় অবদান ছিল।

এরপরেই এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের তীব্র সমালোচনা করে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মেন্টর সহবাগ বলেছেন, ‘ও আইপিএল-এ কোনওরকম চাপই নেয় না। ও শুধু খেলা উপভোগ করার জন্যই এখানে আসে। ও রান করা ছাড়া আইপিএ-এর ম্যাচগুলিতে বাকি সবকিছুই করে। অন্য খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয়, ঘুরে বেড়ায়, নাচে। কিন্তু রান করে না। খেলা শেষ হওয়ার পর যদি বিনামূল্যে পানীয় পায়, তাহলে সেটা নিয়ে ওর ঘরে চলে যায়। না হলে ঘরে গিয়ে প্রচুর পান করে। তাই আমার কোনওদিনই মনে হয় না ও খেলার বিষয়ে সিরিয়াস। ও যখন আইপিএল-এ খেলতে আসে, তখন ক্রিকেটের চেয়ে গলফ নিয়েই বেশি সিরিয়াস থাকে। ও সিরিয়াস হলে পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়ত।’

১০ কোটি টাকা দিয়ে ম্যাক্সওয়েলকে দলে নিয়েছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। কিন্তু সেই তুলনায় পারফরম্যান্স একেবারেই ভাল নয়। এই কারণে এর আগেও ম্যাক্সওয়েলের তীব্র সমালোচনা করেন সহবাগ। তিনি বলেন, ‘গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নামক ১০ কোটি টাকার এই চিয়ারলিডার পঞ্জাবের জন্য বড্ডই ব্যয়বহুল হয়ে গেল। কোনও কাজেই লাগল না। শেষ কয়েক বছর ধরেই ও খারাপ পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে। আর এ বছর সবচেয়ে খারাপ। হাইলি পেইড ভ্যাকেশন একেই বোধহয় বলে।’