মুম্বই: অস্ট্রেলিয়ার সামনে পড়লেই তিনি অন্যরকম হয়ে যান। টেস্ট ক্রিকেটে এক সময়ে ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের মহীরুহ ছিলেন। পন্টিংদের (Rickey Ponting) দলের বিরুদ্ধে তাঁর একের পর এক বুক চিতিয়ে লড়াই করা ব্যাটিং আজও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দিনের শেষে ম্যাকগ্রা, ওয়ার্ন, লি-দের হতাশার অন্যতম কারণ ছিলেন লক্ষ্মণ (VVS Laxman)। ইডেনে (Eden Gardens) করা অপরাজিত ২৮১ রানের ইনিংসটি তো বিশ্ববন্দিত। কিন্তু ২০১০ সালে মোহালি (Mohali) টেস্টে ৭৯ বলে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লক্ষ্মণ। শেষ উইকেটে প্রজ্ঞান ওঝার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন লক্ষ্মণ। আজকে ওস্তাদের মার সিরিজে আমাদের প্রতিবেদন লক্ষ্মণের এই ইনিংস নিয়েই -


লক্ষ্মণের অপরাজিত ৭৩ 


২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া এসেছিল ভারত সফরে। সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছিল মোহালিতে। চতুর্থ ইনিংসে ভারতের সামনে জয়ের জন্য ছিল ২১৬। ওপেনিংয়ে নেমে গৌতম গম্ভীর খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মাত্র ১৭ রান করে ফেরেন বীরেন্দ্র সহবাগ। মিডল অর্ডারে সচিন তেন্ডুলকর ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। সুরেশ রায়না, অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও ফিরে যান দ্রুত। ১২৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারতীয় দল। তখনও ৯২ রান বাকি। ইশান্ত শর্মা ও প্রজ্ঞান ওঝাকে সঙ্গে নিয়ে এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ডানহাতি অভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটার।


প্রথম ইনিংসে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়েই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন লক্ষ্মণ। ম্যাচের শেষ দিনের খেলা ছিল। আগের দিন রান নেওয়ার সময় পায়ে চোট পেয়েছিলেন। যা কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছিল তাঁকে। কিন্তু লড়াই ছাড়েননি। সুরেশ রায়নাকে রানার নিয়েই স্কোরবোর্ডে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ভিভিএস। ইশান্ত শর্মা ৯২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে লক্ষ্মণকে যোগ্য সঙ্গ দেন। শেষে ওঝাকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন লক্ষ্মণ।


অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪২৮ রান বোর্ডে তুলে নেয়। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪০৫ রান করে ভারতীয় দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৯২ রানে অল আউট হয়ে যায়। জাহির খান ও ইশান্ত শর্মা ৩টি করে উইকেট নেন। রান তাড়া করতে নেমে ম্যাচ জিতে সিরিজেও এগিয়ে যায় ভারতীয় দল।