প্রাক্তন সতীর্থ বাসিত আলির আমন্ত্রণে তাঁর ইউটিউব শোয়ে হাজির হন আক্রমণ। সেই শোয়েই তিনি পছন্দের ব্যাটসম্যানদের নাম জানান। ভিভকে এই তালিকায় প্রথম স্থানে রাখা নিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন বাঁ হাতি পেসার বলেন, ‘একজন ব্যাটসম্যানের অনন্য টেকনিক, ক্যারিশমা এবং এমন একজন যে খেলায় বিরাট প্রভাব বিস্তার করেছিল সে কথা বলতে গেলে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের নামই আসে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ন’য়ের দশক এবং ২০০০-এর পরেও মহান ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বোলিং করেছি। কিন্তু ভিভ রিচার্ডস সবার চেয়ে আলাদা ছিল।’
সচিনের বিষয়ে আক্রম বলেছেন, ‘আমি সচিনকে এই তালিকা থেকে সরিয়ে রাখছি। কারণ, আমরা ওর বিরুদ্ধে ১০ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলিনি। আমি আর ওয়াকার ওর বিরুদ্ধে ১০ বছর টেস্টে বোলিং করিনি। ও ১৯৮৯ সালে যখন পাকিস্তান সফরে এসেছিল, তখন ওর ১৬ বছর বয়স ছিল। তারপর আমরা ওর বিরুদ্ধে আবার খেলি ১৯৯৯ সালে। শারজায় একদিনের আন্তর্জাতিকে আমি ওর বিরুদ্ধে বল করেছি। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ আলাদা। কোনও সন্দেহ নেই, ও সেরা ক্রিকেটারদের একজন। কিন্তু একজন বোলার হিসেবে আমি সেরা অবস্থায় থাকার সময় ওর বিরুদ্ধে বোলিং করিনি। সেই কারণেই ওর বিচার করা আমার পক্ষে কঠিন।’
ক্রো সম্পর্কে আক্রম বলেছেন, ‘আমি দু’নম্বরে মার্টিন ক্রো-কে রাখব ওঁর টেকনিকের জন্য। কীভাবে রিভার্স স্যুইংয়ের মোকাবিলা করতে হবে সে বিষয়ে যখন সারা বিশ্বের কোনও ধারণা ছিল না, তখন তিনি আমাদের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। সেই সিরিজেই ওয়াকার তিন ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়েছিল। চোট পাওয়ার আগে পর্যন্ত দেড়খানা ম্যাচ খেলে আমি ১৬ উইকেট নিয়েছিলাম। সেই সিরিজে ক্রো দু’টি শতরান করেছিলেন। আমি ওঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তুমি আমার আর ওয়াকারের বল এত ভালভাবে কী করে খেললে? তিনি বলেছিলেন, তোমরা যখন স্যুইং বল করছিলে, আমি তখন ফ্রন্ট ফুটে খেলছিলাম। বাইরের দিকে যে বলগুলি যাচ্ছিল, আমি সেগুলি খেলার চেষ্টা করিনি। সেই কারণেই খোঁচা দিইনি।’
লারা সম্পর্কে আক্রম বলেছেন, ‘আমি তিন নম্বরে রাখব ‘রাজপুত্র’ ব্রায়ান লারাকে। তাঁকে বল করা খুব কঠিন ছিল। তাঁর ব্যাট বিভিন্ন দিক থেকে আসত। তাঁকে কখনও স্থির মনে হত না।’
ইনজামামকে সচিনের চেয়ে কেন এগিয়ে রাখছেন, সে বিষয়ে অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা দেননি আক্রম।