শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল সাত রান। হাতে এক উইকেট। ক্রিজে ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা এবং খলিল আহমেদ। রশিদ খান ৫০তম ওভারে বল করতে আসেন। প্রথম বলে কোনও রান হয়নি। দ্বিতীয় বলেই চার মারেন জাডেজা। পরের বলে এক রান নেন জাডেজা। স্ট্রাইকে আসেন আহমেদ। শেষ তিন বলে বাকি দুই। খলিল ইনসাইড এজে লাগিয়ে কোনও মতে একটা রান নিলেন। দু’বলে এক রান প্রয়োজন। স্ট্রাইকে জাডেজা। রশিদের পঞ্চম বলটা তিনি উড়িয়ে দিলেন ডিপ মিডউইকেট অঞ্চলে। সেখান থেকে ডান দিকে দৌড়ে এসে ক্যাচ ধরলেন নাজিবুল্লা জাদরান। দু’দলের রানই তখন ২৫৪! বিস্ময়ের ঘোর ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। জাডেজাও আফসোসে ভেঙে পড়েন। অন্যদিকে, উচ্ছ্বাসে ভেসে ওঠে আফগান শিবির।
দিনের শুরুটাও হয়েছিল চমক দিয়েই।অধিনায়ক রোহিত শর্মার জায়গায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে টস করতে আসতে দেখে চোখ কচলাচ্ছিলেন সবাই। ৬৯৬ দিন পর টস করতে নামলেন ক্যাপ্টেন কুল। পরিস্থিতির কারণে ২০০ তম ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিলেন ধোনি।
আফগানরাও যেন এই ম্যাচটা স্মরণীয় করতেই মরিয়া হয়েই নেমেছিলেন।
ম্যাচের পর ক্যাপ্টেন কুল মনে করেছেন, দল প্রথমসারির খেলোয়াড়দের অভাব অনুভব করেছে। ওই খেলোয়াড়দের এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।একইসঙ্গে ঘুরিয়ে উল্লেখ করতে ভুললেন না যে, আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে দুটি উইকেট হারাতে হয়েছে ভারতকে।
ধোনি বলেছেন, আমাদের ফাস্ট বোলারদের সঠিক লাইনে বোলিং করা দরকার ছিল। ব্যাটসম্যানদেরও শট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক সচেতন হওয়া উচিত ছিল। দুটি রান আউট হয়েছে। আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেগুলির উল্লেখ করে আমি জরিমানার মুখে পড়তে চাই না। আমরা ম্যাচটা হেরেও যেতে পারতাম।
উল্লেখ্য, ধোনি ও দীনেশ কার্তিককে এলবিডব্লু আউট দেন আম্পায়ার। ওই দুটি সিদ্ধান্তই ভুল ছিল বলে রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে।
একইসঙ্গে আফগান ক্রিকেটারদের প্রশংসাও করতে ভোলেননি মাহি। তিনি বলেছেন, ব্যাটিং ও বোলিং-উভয় বিভাগেই ভালো খেলেছে আফগানিস্তান। ধোনি বলেছেন, ওরা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ওরা ভালো খেলছে, এজন্য ওদের প্রশংসা করতেই হয়।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান মহম্মদ শাহজাদের ১১৬ বলে ১২৪ রানের ইনিংসে ভর করে ভারতের সামনে জয়ের জন্য ২৫৩ রানের লক্ষ্য রাখে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার কে এল রাহুল এবং অম্বাতি রায়ডু দ্রুত গতিতে রান তুলতে শুরু করেন। তাঁদের জুটিতে ১০০-র বেশি রান ওঠে। এরপর প্রথমে রায়ডু ও পরে রাহুল আউট হয়ে যান। পরে ধোনি (৮) আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হন। কার্তিক ৪৪ রান করে একইভাবে আউট হন। শেষপর্যন্ত ক্রিজে থেকে টাই করলেও দলকে জেতাতে পারলেন না জাডেজা।