দোহা: আফগানিস্তানের সঙ্গে এগিয়ে গিয়েও ড্র করল ভারত। ১-১ ব্যবধানে শেষ হল ম্যাচ। এই ম্যাচ ড্র করায় গ্রুপে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করে ফেলল ভারত। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপ কোয়ালিফায়ার্সের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন সুনীল ছেত্রীরা।


গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থেকে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার্সের তৃতীয় রাউন্ডের জায়গা করে নেওয়াই এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে লক্ষ্য ছিল ভারতের। সেই লক্ষ্যে সফল সুনীলরা। ড্র করে ৮ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ভারত গ্রুপে তৃতীয় স্থানে শেষ করে। আফগানিস্তানের ৮ ম্যাচে হল ৬ পয়েন্ট। গ্রুপে তারা চতুর্থ।


বাংলাদেশ ম্যাচের প্রথম একাদশে জোড়া বদল করে দল নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ। কাতারের বিরুদ্ধে ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন রাহুল ভেকে। কার্ড সমস্যার জন্যই তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি। অফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশে ফিরলেন তিনি। প্রথম একাদশে ফেরেন আশিক কুরুনিয়ান।


আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করেছিল ভারত। ১০ মিনিটের মাথায় গ্লেন মার্টিন্সের কাছ থেকে বল ধরে আফগানিস্তানের গোল লক্ষ্য করে শট নেন সুনীল। বাঁচান আফগান গোলকিপার। ১৬ মিনিটের মাথায় ভারতের কোচ স্তিমাচকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ৩০ মিনিটের মাথায় আফগান অধিনায়ক ফারশাদ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। মাঠে নামেন নাজিম। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।





দ্বিতীয়ার্ধের ৭৫ মিনিটে আফগান গোলকিপার আজিজির আত্মঘাতী গোলে ১-০ এগিয়ে যায় ভারত। অবশ্য সাত মিনিট পরেই ম্যাচে সমতায় ফেরে তারা। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই গোল করেন হোসেন জামানি। ৮২ মিনিটে তাঁর গোলেই ১-১ করে আফগানিস্তান।



ভারত কোয়ালিফায়ারের প্রথম ম্যাচে ১-২ গোলে পরাজিত হয়েছিল ওমানের কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিল কাতারের বিরুদ্ধে। তৃতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। চতুর্থ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। পঞ্চম ম্যাচে ০-১ গোলে হারে ওমানের কাছে। ষষ্ঠ ম্যাচে কাতারের কাছে হারে ০-১ গোলে। সপ্তম ম্যাচে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে পরাজিত করে। ৭টি ম্যাচে সুনীলদের ১টি জয়, ৩টি ড্র ও ৩টি ম্যাচে পরাজয়।