লর্ডস: ইংল্যান্ড ক্রিকেটে 'বাজবল থিওরির জনক তিনি। তিনি হেডকোচ হয়ে আসার পরেই এই থিওরিতেই সাফল্য পেয়েছে স্টোকস বাহিনী। কিন্তু অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে সেই 'বাজবল' থিওরি কোনও কাজে আসেনি। ২ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে অজিরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। হারের পর থেকেই ইংল্যান্ডের গেমপ্ল্যান নিয়ে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। ওভাল টেস্টে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের দ্রুত ডিক্লেয়ার ঘোষণা করা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। তবে সে সবে বেশি কান দিতে নারাজ ইংল্যান্ডের হেডকোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম।


এক সাক্ষাৎকারে ম্যাকালাম বলেন, ''আমার মনে হয় আমরা আমাদের পরিকল্পনা মতই খেলতে পেরেছি। অস্ট্রেলিয়াও তাদের পরিকল্পনা মতই খেলেছে। সাফল্য পেয়েছে। ওরা ওদের গেমপ্ল্যান অনুযায়ী খেলে খুশি। গোটা অ্যাশেজ সিরিজেই এইভাবেই ওরা খেলতে চলেছে। আমি নিশ্চিত দুর্দান্ত একটা লড়াই হতে চলেছে গোটা অ্যাশেজেই।'' প্রাক্তন কিউয়ি অধিনায়ক আরও বলেন, ''প্রত্যেকেই ম্যাচ জিততে চায়। আমি ভেবেছিলাম যে ট্যাকটিক্সে খেলছিলাম তাতে আমরা চাপ তৈরি করতে পারব। প্রথম ইনিংসে দ্রুত ডিক্লেয়ারের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। তবে আমার তা নিয়ে এতটুকুও আক্ষেপ নেই। দ্বিতীয় টেস্টে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চাই আমরা।''


ক্রিকেটপ্রেমীদের জিজ্ঞেস করুন। এক একজন এক একরকম ব্যাখ্যা দেবেন। তবে বাজবল যে ঠিক কী, শুক্রবার এজবাস্টনে তা প্রমাণ করে দিলেন ইংরেজ ক্রিকেটারেরা। কীভাবে? অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কার্যত ওয়ান ডে ক্রিকেটের ভঙ্গিতে খেলে। মাত্র ৭৮ ওভারে ৩৯৩/৮ স্কোর তুলে ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসদের যে সিদ্ধান্ত হইচই ফেলে দিয়েছিল। অনেকে যেমন প্রশংসা করেছিলেন সাহসী সিদ্ধান্তের, অনেকে সমালোচনাও করেছিলেন। বলা হয়েছিল, প্রতিপক্ষ যখন অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দল, যারা সদ্য টেস্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তখন এই সিদ্ধান্ত বেশি তাড়াহুড়ো করে হয়ে গেল না তো?


ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকে আরও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। যার নমুনা দেখা গেল শুক্রবার এজবাস্টনে। ওভার প্রতি ৫.০৩ রান করে তুলেছিল ইংল্যান্ড। সেঞ্চুরি করেছিলেন জো রুট। ১৫২ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত রইলেন। আরও বড় ইনিংস খেলার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে। কিন্তু শেষ বেলায় অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে কয়েকটি উইকেটের জন্য ঝাঁপানো অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছিল টিম ম্য়ানেজমেন্টের কাছে। কিন্তু ম্যাচ যদিও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি ব্রিটিশ বাহিনী।