নয়াদিল্লি: লোঢা কমিটির সুপারিশকে মান্যতা দিয়ে সোমবার যে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তাকে সম্মান দিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআই।


এদিন রায় ঘোষণার পর বোর্ডের অন্যতম শীর্ষ সদস্য তথা আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল জানান, শীর্ষ আদালতের নির্দেশানুসারে কীভাবে লোঢা কমিটির সুপারিশকে রূপায়িত করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে বোর্ড।

এদিন প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং বিচারপতি এফ এম আই কালিফুল্লাকে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয়।

সেগুলি হল-

  • মন্ত্রী ও সরকারি প্রতিনিধিদের জন্য বন্ধ ভারতীয় বোর্ডের দরজা৷ বিসিসিআইয়ের কোনও পদে বহাল থাকতে পারবেন না তাঁরা৷

  • সত্তরোর্ধ্ব কোনও ব্যক্তি বিসিসিআই বা বোর্ড অনুমোদিত রাজ্য সংস্থার কোনও পদে থাকতে পারবে না৷

  • বোর্ডে এক পদ এক ব্যক্তি প্রথা৷ অর্থাত্‍, একইসঙ্গে বোর্ড অনুমোদিত রাজ্য সংস্থা ও বিসিসিআইয়ের পদে বহাল থাকা যাবে না৷

  • একটি রাজ্য থেকে একটি সংস্থাই ভারতীয় বোর্ডের পূর্ণ সদস্যপদ পাবে৷ তাদের ভোটাধিকার থাকবে৷

  • যে রাজ্যে একাধিক ক্রিকেট সংস্থা রয়েছে, তারা রোটেশন পদ্ধতিতে বিসিসিআইয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে৷

  • ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আয়-ব্যয়ের হিসেব ও কোষাগারের উপর নজরদারি চালাতে দায়িত্ব দেওয়া হবে ক্যাগকে৷


আরও পড়ুন: শুদ্ধিকরণ! লোঢা কমিটির সুপারিশ মেনে বিসিসিআই-তে সংস্কারের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আগামী ৬ মাসের মধ্যে বোর্ডে লোঢা কমিটির এই প্রস্তাব কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত৷

এই রায়কে এদিন স্বাগত জানিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বিষেণ সিংহ বেদী এবং কীর্তি আজাদ। ট্যুইটারে উচ্ছ্বসিত বেদী লেখেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে সকলে মিলে স্বীকার করা উচিত। কারণ, সবকিছুর আগে ভারতীয় ক্রিকেটের স্বাস্থ্য ফেরানো প্রয়োজন। আজাদ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, লোঢা কমিটির সুপারিশকে শীর্ষ আদালত মান্যতা দেওয়ায় আমার অবস্থানই স্বীকৃত হল। দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে তিনি যে ফের ময়দানে নামবেন, তাও স্পষ্ট করেছেন আজাদ।