ওই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তুলনামূলকভাবে নবাগত ছিলেন মিঁয়াদাদ। এর কয়েক বছর আগে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ১৯৭৮-৭৯ সিরিজে তিনি ও জাহির আব্বাস বেশ ভালো পারফর্ম করেছিলেন। ওই সিরিজ ২-০ জিতেছিল পাকিস্তান। ভারতের স্পিন ত্রয়ীর প্রতি নির্দয় ছিলেন জাহির আব্বাস ও মিয়াঁদাদ।
মিঁয়াদাদ বলেছেন, ওই সময় ভারতের বোলিং শক্তি ছিল তাদের স্পিনাররা... চন্দ্রশেখর, বেদি, প্রসন্ন। সারা বিশ্বেই তাঁরা দারুণ বোলিং করেছিলেন। কিন্তু এখানে এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। আমরা তাঁদের নির্বিষ করে দিয়েছিলাম। তাঁদের পিটিয়ে প্রচুর রান করতে করেছিলাম।
১২৪ টেস্টে ৮৮৩২ রানের মালিক মিঁয়াদাদ ফয়সালাবাদে ওই সিরিজের প্রথম টেস্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানিয়েছেন, তিনি ও জাহির আব্বাস কীভাবে ভারতীয় বোলারদের অসহায় করে তুলেছিলেন। তিনি বলেছেন, আমার মনে আছে যে, চন্দ্রশেখর কিছু কিছু ক্ষেত্রে জাহির আব্বাসকে সমস্যায় ফেলে দিচ্ছিলেন। তখন তিনি আমাকে চন্দ্রশেখরকে সামলাতে বলেন। আমি তখন এক প্রান্তে চন্দ্রশেখরকে খেলছিলেন। অন্যপ্রান্তে বেদি সাহেব ও প্রসন্নর বিরুদ্ধে প্রচুর রান করেন।
মিঁয়াদাদ ও জাহির আব্বাস-দুজনেই ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২৫৫ রান যোগ করেছিলেন।