পাল্লেকেল: ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি তাঁর পূর্বসুরী মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অকুন্ঠ প্রশংসা করেন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদ  জানিয়ে দিয়েছেন,ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই ২০১৯-র বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ধোনির স্থান  হবে কিনা, তা স্থির করে দেবে। এ প্রসাদ বলেছেন, নির্বাচক কমিটির বৈঠকে ধোনির ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে যতদিন ধোনি পারফর্ম করতে পারবেন, ততদিন তাঁর বিকল্পের কথা ভাবা হবে না।


উল্লেখ্য, দলে ধোনির জায়গা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। ধোনির ম্যাচ ফিনিস করার ক্ষমতা নিয়েও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। অতীতের মতো ফিনিসারের ভূমিকায় ধোনি সেভাবে সফল হতে পারেননি।

আগামী বিশ্বকাপে ধোনির বয়স হবে ৩৭। তাঁর ফিটনেস নিয়ে এখনও প্রশ্ন করা যায় না। কিন্তু দু বছর পরও তাঁর ফিটনেস একই রকম থাকবে কিনা, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের দল থেকে যুবরাজ সিংহকে বাদ দেওয়ায় ধোনিকে ঘিরেও জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রসাদ অবশ্য জানিয়েছেন, যুবিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।

ধোনি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্রসাদ বলেছেন, শুধু ধোনিই নয়, প্রত্যেককে নিয়েই কমিটিতে আলোচনা হয়। কাউকে দলে বেছে নেওয়া হলে কম্বিনেশন নিয়ে কথা হয়। ভবিষ্যতেও তা হবে।

ধোনির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রসাদ বলেছেন, এ ব্যাপারে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। এখন প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলছেন ধোনি, তাই তাঁকে নিয়ে সমস্যা নেই।

এর পাশাপাশি নির্বাচক কমিটির প্রধান বলেছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী খেললে অবশ্যই দলে থাকবেন ধোনি। কিন্তু যদি পারফর্ম না করতে পারেন, তাহলে বিকল্প খুঁজতে হবে।

এই প্রসঙ্গে প্রসাদ আন্দ্রে আগাসির উদাহরণ টেনেছেন। তিনি বলেছেন, টেনিস তারকা আগাসির কেরিয়ার তো শুরু  হয়েছিল ৩০ বছরের বয়সের পর। তার আগে কয়েকটি মাত্র ট্রফি জিতেছিলেন তিনি।

তাঁকে সর্বদাই এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হত, কখন অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু আগাসি ৩৬ বছর বয়স পর্যন্ত খেলে অনেকগুলি গ্র্যান্ডস্লাম জেতেন।