নয়াদিল্লি: ভারত সফরে আসা স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়াকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না হরভজন সিংহ। ক্রিকেট মহলের মতে, স্মিথ-বাহিনীর বিরুদ্ধে সব দিক থেকে এগিয়ে ভারতই, তারাই ফেভারিট দল।

আর ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পুণেতে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার প্রাক্কালে ভাজ্জি বলেছেন, সেরা বেশ কয়েকটি অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে খেলেছি। এই দলটার যা গঠন, তাতে আমার মতে, যত অস্ট্রেলিয়া টিম ভারতে এসেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল এরাই। ভারতের পরিবেশে গুণমানে সমৃদ্ধ ভারতীয় দলকে সামলানোর ক্ষমতা এদের আছে বলে মনে হয় না।

এমন স্পষ্ট অভিমতের স্বপক্ষে ২০০১-এর সেই চিরস্মরনীয় সিরিজে ৩২টি উইকেট পাওয়া রেকর্ডের মালিক বলেছেন, ২০০১-এর সেই অস্ট্রেলিয়া টিমে ম্যাথু হেডেন, মাইকেল স্লেটার, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়া ছিল। এই টিমের স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারকে বাদ দিলে ওদের ব্যাটিং লাইনের রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজাকে সামলানোর মতো শক্তি আছে বলে মনে করি না।  দুজনেই জানে, দেশের পিচে কী করে উইকেট তুলতে হয়।

যদিও প্র্যাকটিশ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৪৬৯ রান তুলেছে, কিন্তু সেটা ইন্ডিয়া এ সাইডের বিপক্ষে, যে দলে টেস্ট টিমের কোনও নামী ক্রিকেটারই ছিলেন না। বস্তুত ভারতের কাছে ৪-০য় হেরে মুখ চুন করে ফিরে যাওয়া ইংল্যান্ড দলকেও স্মিথের টিমের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন ভাজ্জি। বলছেন, সম্প্রতি ভারত সফর করে যাওয়া ইংল্যান্ড টিমের ব্যাটিংও এদের থেকে ভাল। একাধিকবার ওরা ৪০০-র ওপর রান তুলেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া টিমটা তা পারবে না।

স্মিথ নিজে স্পিন ভাল খেলেন। কিন্তু হরভজনের যুক্তি, আইপিএলের প্রসঙ্গ এখানে না টানা ভাল। ওখানে ফ্ল্যাট ব্যাটিং পিচে খেলা হয়। স্পিনারদের বিরুদ্ধে স্মিথের বেশিরভাগ সেঞ্চুরিও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই। সেখানে লেংথের পার্থক্য হয়, বল ঘোরে কম, বাউন্স করে, যা স্ট্রোকপ্লেয়ারদের সুবিধা করে দেয়। ভারতের পিচে স্মিথের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে অশ্বিন, জাডেজা। আর ওয়ার্নার বোলারকে আক্রমণ করে, যার অর্থ ও চান্স দেবে।

মিশেল স্টার্ক তাঁর গতি, রিভার্স স্যুইং দিয়ে বড় বিপদ হয়ে উঠতে পারে, এমন ধারণাও খারিজ করে দেন হরভজন। নাথান লিয়নকে কিছুটা গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। বলছেন, ওকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। ২০০-র বেশি টেস্ট উইকেট নিয়েছে। কিন্তু ওকে তো বল করতে হবে বিরাট কোহলি, মুরলি বিজয় বা অজিঙ্কা রাহানের মতো ব্যাটসম্যানদের।