কলকাতা : বর্ষশেষের রাতে বড় উপহার পেলেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। কেরলকে ১-০ গোলে উড়িয়ে ভারতসেরা বাংলা। কেরলের কাছে দু'বার সন্তোষ ট্রফি ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল বাংলা। বাংলার হয়ে একমাত্র গোল করেন রবি হাঁসদা। ৬ বছর বাদে সন্তোষ চ্যাম্পিয়ন সঞ্জয় সেন ব্রিগেড। এনিয়ে ৩৩ বার সন্তোষ ট্রফি ঘরে তুলল বাংলা। বাংলার এই জয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্জয় সেনের অসামান্য কোচিং এবং চাকু মান্ডির অধিনায়কত্বে বাংলার ফুটবলারদের অনবদ্য পারফরমেন্সের ফলেই এই জয়, শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসেরও।


ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "দীর্ঘ ৮ বছরের অপেক্ষার পর, মর্যাদাপূর্ণ সন্তোষ ট্রফি পুনরুদ্ধার করে জয়ের ধ্বনিতে ২০২৫ সাল শুরু করল বাংলার ফুটবল দল। এনিয়ে রেকর্ড ৩৩ বার জিতল বাংলা। রবি হাঁসদার আসামান্য গোলে দুরন্ত এই জয় পাওয়া গেছে। ১৩ গোল করে সোনার বুটও জিতে নিয়েছেন রবি হাঁসদা। কোচ সঞ্জয় সেন, অধিনায়ক চাকু মান্ডি, গোটা বাংলা দল, দলের ম্যানেজমেন্ট, কোচিং ও ট্রেনিং স্টাফদের ঐতিহাসিক এই সাফল্যের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ভারতীয় ফুটবলের কেন্দ্রস্থল হিসাবে জ্বলজ্বল করছে বাংলা। আগামী দিনে আরও অনেক সাফল্য অপেক্ষা করছে।"



এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই খুব সতর্কভাবে খেলতে শুরু করে বাংলা ও কেরল উভয় দলই। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাডেড টাইমে টুর্নামেন্টের ১২তম ও এই ফাইনাল ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে কিস্তিমাত করেন রবি হাঁসদা। বক্সে মনোতোষ মাঝির হেডার পেয়ে সোজা জালে বল ঢুকিয়ে দেন তিনি। তাঁর এই গোলের হাত ধরেই ফাইনাল ম্যাচে নাটকীয় পটপরিবর্তন ঘটে। জালে বল ঢোকানোর পর, আনন্দে ফেটে পড়েন হাঁসদা, খুলে ফেলেন নিজের শার্ট। যার জেরে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। কিন্তু, তাতেও টুর্নামেন্টে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে দু'টি পুরস্কারে পুরস্কৃত হওয়া আটকাতে পারেনি। তিনি পান তুলসিদাস বলরাম প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ ও পিটার থাঙ্গারাজ প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট অ্যাওয়ার্ড। এভাবে টুর্নামেন্টের প্রথম দিন থেকেই নিজের কাঁধে দলের দায়িত্ব বহন করে চলেন রবি। কাজেই, তাঁকে ব্যতীত উপরের দু'টি পুরস্কারের জন্য অন্য কাউকে আর ভাবা হয়নি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।