কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় ভারতীয় ক্রীড়ামহলে আছড়ে পড়ল শোকবার্তা। ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার মহম্মদ হাবিব (Mohammed Habib)। যাঁকে ময়দান চিনত বড়ে মিঞা নামে। হায়দরাবাদে, নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন হাবিব।


হাবিবের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন তিনি। লিখেছেন, 'হায়দরাবাদে আজ কিংবদন্তি ভারতীয় ফুটবলার মহম্মদ হাবিবের প্রয়াণের খবর শুনে আমি মর্মাহত। ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত কলকাতা ময়দানে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। ফুটবলপ্রেমীদের নয়ণের মণি ছিলেন। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ছিলেন। ২০১৮ সালে আমরা ওঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ দিতে পেরেছিলাম। ওঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অগণিত ভক্তদের সমবেদনা জানাই।'


মঙ্গলবার হায়দরাবাদের বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।


মহম্মদ হাবিবের ভাইপো, আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার আকবরের ছেলে হাবিবের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। স্মৃতিশক্তি হারিয়েছিলেন। বাকশক্তিও হারিয়েছিলেন। হায়দরাবাদের বাড়িতেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন।


মঙ্গলবার ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস। দেশজুড়ে উৎসবের আবহ। আর সেদিনই ভারতীয় ফুটবলে দুঃসংবাদ। প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার মহম্মদ হাবিব। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 


পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার হায়দরবাদের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হাবিব। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডান - কলকাতার তিন প্রধানেই সাফল্যের সঙ্গে খেলেছেন হাবিব। ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের যে ফুটবল দল ব্রোঞ্জ জিতেছিল, সেই দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।


 




মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯৬৬ সালে হায়দারাবাদ থেকে কলকাতায় এসে ইস্টবেঙ্গলে নাম লেখান। তারপর প্রায় ১৮ বছর কখনও মোহনবাগান তো কখনও ইস্টবেঙ্গল আবার কখনও মহামেডানের জার্সিতে ময়দান কাঁপিয়েছেন।


খেলা ছাড়ার পর কোচিংও করিয়েছেন। একটা সময় টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে দীর্ঘদিন ফুটবলার তৈরির কাজে নিয়োজিত ছিলেন হাবিব। কলকাতায় মোহনবাগান এবং মহামেডানের কোচ হিসাবেও কাজ করেছেন।                                         




আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial