নয়াদিল্লি: ক্রিকেট দুনিয়া তাঁকে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হিসেবে জানে। তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ম্যাচ চলাকালে যে কোনও পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার জন্য ধোনিকে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলা হয়। এবার আশিস নেহরাও বললেন,  চাপের মুখে তাঁর দেখা সেরা অধিনায়ক ধোনি। ৩৭-র দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে জাতীয় টি-২০ দলে দুরন্ত কামব্যাক করেছেন নেহরা। সদ্যসমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সের সুবাদে টুর্নামেন্টের সেরা দলে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি।

সেই নেহরা বলেছেন, মহম্মদ আজহারউদ্দিনের অধিনায়কত্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক ঘটেছিল। এরপর তিনি বেশ কয়েকজনের অধিনায়কত্বে খেলেছেন। তিনি মনে করেন, চাপের মুখে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজের কাজটা সবচেয়ে ভালো করতে পারেন ধোনি। কামব্যাক ম্যান  নেহরার কথায়, চাপের মুখে আর কোনও অধিনায়ককে এত শান্ত থাকতে তিনি দেখেননি।

এবিপি নিউজ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন নেহরা।

একইসঙ্গে ২০০৯-এ ধোনি এবং ভারতের তত্কালীন কোচ গ্যারি কারস্টেনের ফিলারে সাড়া না দেওয়ার জন্য আক্ষেপ করেছেন নেহরা। নেহরা  এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ২০০৯-এ ধোনি ও গ্যারি জানতে চেয়েছিলেন তিনি টেস্টে কামব্যাক করতে চান কিনা। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩০-৩১। নেহরা মনে করছেন, ধোনি-গ্যারির ফিলারে সাড়া দিলেই ভালো হত। তাহলে তাঁর টেস্ট কেরিয়ার মাত্র ১৭ টি ম্যাচেই শেষ হয়ে যেত না।

 

ধোনি ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অধিনায়কত্বের তুলনা সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে নেহরা বলেছেন, সৌরভের অধিনায়কত্বে আমি, যুবরাজ, বীরেন্দ্র সহবাগ, জাহির খানের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা খেলতাম। সেই সময় সৌরভের ইচ্ছা ছিল আমাদের কাছে নির্দেশের মতো। সৌরভ আমাদের তুলনায় অনেকটাই অভিজ্ঞ ছিলেন। দাদার কিছু করতে বলা মানে, আমরা জানতাম যে, তা করতে হবে।



 

বাঁহাতি পেসার নেহরা বলেছেন, ‘ধোনির অধিনায়কত্বে যখন ২০০৯-এ কামব্যাক করলাম তখন অনেক বেশি পরিণত ছিলাম। ধোনির অধিনায়কত্বের ধরণ বুঝতে পারতাম। তাই ধোনির অধিনায়কত্বে খেলাটা উপভোগ্য অভিজ্ঞতা’।