করাচি: বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের কাছে পাকিস্তানের লজ্জাজনক হারের পর ভক্তের তাঁর উদ্দেশ্যে আপত্তিকর কটূক্তি, বিদ্রূপের ভিডিওটি দেখে স্ত্রী খুশবখত কেঁদে ফেলেছিলেন বলে জানালেন সরফরাজ আহমেদ। তাঁর হেনস্থা খুশবখত সহ্য করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন পাক ক্রিকেট অধিনায়ক। সেদিনের ম্যাচের পর ছেলে আবদুল্লাকে কোলে নিয়ে মাঠে আসার পর সরফরাজকে শুয়োরের মতো মোটা বলে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করেন এক ভক্ত। সরফরাজকে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদপত্র ‘জঙ্গ’ লিখেছে, মনে পড়ছে, ঘরে ঢুকে দেখি স্ত্রী খুশবখত ভিডিওটা দেখার পর কান্নায় ভেঙে পড়ছে। আমি তাঁকে বলি, এটা সামান্য একটা ভিডিও, তাছাড়া এটুকু আমাদের সহ্য করতে হবে কারণ আমাদের ভক্তরা খুবই আবেগপ্রবণ। ঘটনাচক্রে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বেশিরভাগ পাক ক্রিকেটানুরাগীই সরফরাজকে সমবেদনা জানিয়ে উল্টে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনের এমন অসম্মানের জন্য সেই তরুণ ভক্তকেই ট্রোল করেন। পরে সে-ও ক্ষমা চায়।
প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররাও সরফরাজের হেনস্থার নিন্দা করেন। ওয়াসিম আক্রাম তো বলেই দেন, তাঁর ক্ষেত্রে এমন হলে তিনি সেই ভক্ততে কষিয়ে থাপ্পড় মারতেন। যে কোনও ফ্যানের অধিকার আছে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য আমাদের সমালোচনা করার, কিন্তু তা বলে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা ক্রিকেটারের পরিবারকে টার্গেট করা চলতে পারে না।
পাকিস্তান ২০১৭র চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেতাব জিতেছিল সরফরাজের নেতৃত্বেই। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের শুরুতে পরপর কয়েকটি ম্যাচ হেরে তিনি ও দলের বাকিরা সমালোচিত হচ্ছেন। সরফরাজও জানিয়েছেন, তরুণ ভক্তের ওই মন্তব্যে তিনি খুব আঘাত পেয়েছিলেন। কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু ছেলে কোলে ছিল বলে নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন, মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন। তিনিও পাল্টা কিছু বললে অনুরাগীদের কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছেন, তা পেতেন না বলে ধারণা সরফরাজের। তিনি বলেছেন, আমিও পাল্টা রাগের মাথায় কিছু করে বসলে তো ওর সঙ্গে আমার কোনও ফারাকই থাকত না। ওই ছেলেটির পরিবারের একজন সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছিল বলেও জানিয়েছেন সরফরাজ।