২০১৬ সালে বিহারের একটি অনাথ আশ্রম থেকে শিরিনকে দত্তক নেন ওয়েসলি ও তাঁর স্ত্রী সিনি। ২০১৭ সালের অক্টোবরে রহস্যজনকভাবে তিন বছর বয়সি শিরিনের মৃত্যু হয়। প্রথমে ওয়েসলি দাবি করেন, দুধ না খাওয়ার শাস্তি হিসেবে তিনি ভোর তিনটেয় শিরিনকে বাড়ির বাইরে একটি গাছের নীচে দাঁড় করিয়ে রাখেন। ১৫ মিনিট পরে সেখানে গিয়ে দেখেন, শিরিন নেই। দু’সপ্তাহ পরে একটি কুকুর একটি সাঁকোর নীচ থেকে শিরিনের পচা-গলা দেহ টেনে বের করে। এরপর ওয়েসলি বয়ান বদলে দাবি করেন, তিনি নিজেই শিরিনকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। সেই সময় গলায় দুধ আটকে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়।
আদালতে শুনানির সময় তদন্তকারী শেরি টমাস বলেন, ‘চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিরিনকে খুন করা হয়েছে। তার গলায় দুধ আটকে মৃত্যু হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিন বছরের একটি শিশুর গলায় দুধ আটকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু সম্ভব নয়। ওয়েসলি ম্যাথুজ মিথ্যা বলছেন। তিনিই শিরিনকে খুন করেন। এরপর তিনি ভয় পেয়ে গিয়ে মিথ্যা বলতে শুরু করেন। অপরাধের প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষে ধরা পড়ে গিয়েছেন।’ তদন্তকারীর এই কথা শুনে আদালত ওয়েসলির শাস্তি ঘোষণা করে।