লন্ডন: উইম্বলডনের ফাইনালে (Wimbledon 2023) হাইভোল্টেজ মহারণ। মুখোমুখি হতে চলেছেন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic) ও কার্লোজ আলকারাজ (Carlos Alcaraz)। বিশ্বের ২ নম্বর টেনিস তারকার সঙ্গে লড়াই বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস তারকার। খাতায় কলমে নিঃসন্দেহে ৪ বারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ও সাতবারের উইম্বলডন জয়ী জোকার এই লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবেন। কিন্তু চমক লাগাতে প্রস্তুত থাকবেন আলকারাজও। স্প্যানিশ টেনিস তারকা চলতি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। ২৩ গ্র্যান্ডস্লামের মালিক জোকারকে কি আটকাতে পারবেন তিনি? উত্তর হয়ত সময়ই দেবে। 


মুখোমুখি লড়াইয়ে কে এগিয়ে?


এই নিয়ে তৃতীয়বার মুখোমুখি হতে চলেছেন জকোভিচ ও আলকারাজ। ২০২২ সালের মাদ্রিদ ওপেনের সেমিফাইনালে প্রথম সাক্ষাতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ২০ বছরের স্প্যানিশ তারকা। দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হয়েছিল চলতি বছর ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে। মাদ্রিদ ওপেনের সেমিফাইনালে আকারাজ ৬-৭, ৭-৬, ৭-৬ ব্যবধানে হারিয়ে দেন জকোভিচকে। সার্বিয়ান টেনিস তারকা ফরাসি ওপেনের সেমিতে আলকারাজকে হারিয়ে দেন। খেলার ফল জোকারের পক্ষে এবার ৬-৩, ৫-৭, ৬-১, ৬-১। 


জোকোভিচ এই নিয়ে ৯ বার উইম্বলডনের ফাইনালে খেলতে নামবেন। রজার ফেডেরারে পর দ্বিতীয় সর্বাধিকবার ফাইনালে নামতে চলেছেন তিনি। সুইস টেনিস সম্রাট মোট ১২ বার উইম্বলডনের ফাইনালে পৌঁছেছেন। সব মিলিয়ে মোট ৩৫ বার গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালে খেলতে নামবেন তিনি। টপকে গিয়েছেন ক্রিস এভার্টকে। জকোভিচ ২০১১, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৮, ২০১৯, ২০২১, ২০২২ সালের উইম্বলডনে জয় পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালে অ্যান্ডি মারের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল তাঁকে। 


আলকারাজ তৃতীয় স্প্যানিশ টেনিস প্লেয়ার হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে জায়গা করে নিলেন। ম্যানুয়েল সান্টানা ও রাফায়েল নাদালের পর উইম্বলডনের ফাইনালে খেলতে নামছেন আলকারাজ। ২০২২ সালে ইউ এস ওপেনের ফাইনালে ক্যাসপার রুডের বিরুদ্ধে নেমে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন আলকারাজ।


২০ বছর ৭২ দিন বয়সে আলকারাজ কণিষ্ঠ প্লেয়ার বিসেবে উইম্বলডনের ফাইনাল খেলবেন আলকারজ। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পর সেন্টার কোর্টে কোনও ম্যাচ হারেননি সার্বিয়ান তারকা। 


উইম্বলডনের নতুন রানি মার্কেতা ভন্দ্রুসোভা 


অনস জ়াবেরকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে উইম্বলডনে মহিলাদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন মার্কেতা ভন্দ্রুসোভা (Marketa Vondrousova)। যিনি টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন অবাছাই হিসাবে। ওপেন যুগে প্রথম অবাছাই হিসাবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন তিনি।


স্লাইস, স্পিন, ড্রপ শট - সব অস্ত্রই প্রয়োগ করেন ভন্দ্রুসোভা। ৬-৪, ৬-৪ ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। গতবারের ফাইনালে এলিনা রাইবাকিনার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন জ়াবের। এবার অনেকেই তাঁর জয় দেখার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। কিন্তু ভন্দ্রুসোভাই শেষ হাসি হাসলেন।


ম্যাচ হেরে হতাশ জ়াবের। বলেছেন, 'আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক হার।' দুজনের সামনেই ছিল ইতিহাস তৈরির হাতছানি। জ়াবেরের সামনে হাতছানি ছিল আরব ও আফ্রিকার প্রথম মহিলা হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের। আর ভন্দ্রুসোভার সামনে ছিল টেনিসের ওপেন যুগে প্রথম মহিলা অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জয়ের।