রাজগির: উইমেন্সে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে দ্বিতীয় ম্য়াচে কোরিয়ার বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ৩-২ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় মহিলা হকি দল। রাজগির স্পোর্টস কমপ্লেক্স হকি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই গোল করে ভারতকে লিড এনে দিয়েছিলেন সঙ্গীতা কুমারি। ৩ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন তিনি। এরপর ভারতের হয়ে আরও দুটো গোল করেন দীপিকা। তিনি ২০ মিনিট ও ৫৭ মিনিটের মাথায় গোল করেন। কোরিয়ার হয়ে লি ইউরি ৩৪ মিনিটের মাথায় ও ক্যাপ্টেন চেয়ন ইউনবি ৩৮ মিনিটের মাথায় গোল করেন। দুজনেই তৃতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন। যদিও ম্য়াচে ড্র করতে বা জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি কোরিয়া।
এদিন খেলার শুরুতেই আক্রমণাত্মক মেজাজে বারবার প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতীয় হকি দলের ফরোয়ার্ডরা। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে নেহা মিডফিল্ড থেকে নভনীত কৌরকে বল পাস দেন। সেখান থেকে সঙ্গীতাকে বল বাড়িয়ে দেন নভনীত। কোরিয়ান গোলরক্ষক কিম ইউনজিকে ভেদ করে বল জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি সঙ্গীতা। এরপর থেকেই আরও বেশি করে চাপ তৈরি করতে থাকে ভারতীয় মহিলা হকি দল প্রতিপক্ষের ওপর। খেলার ২০ মিনিটের মাথায় বিউটি ডুং ডুংয়ের পাস থেকে বল নিয়ে গোল করেন দীপিকা। তাঁর নিজের দ্বিতীয় গোলটি দীপিকা পেনাল্টি কর্নার থেকে করেন। যদিও ভারত এদিন মোট ৮টি কর্নার পেলেও মাত্র একটি গোল কর্নার থেকে করতে পেরেছে।
প্রথম ম্য়াচে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ৪-০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। তবে এদিন ক্লিনশিট ঘরে রাখতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। এরপর বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত।
কিছুদিন আগেই হকিকে বিদায় জানিয়েছিলেন ভারতীয় মহিলা হকির অন্য়তম সেরা প্লেয়ার রানি রামপল। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় অবসরের ঘোষণা করে এক বিবৃতিতে রানি লিখেছিলেন, ''এটা আমার জন্য একটা অসাধারণ সফর ছিল। আমি কখনও ভাবিনি ভারতের হয়ে এতদিন ধরে খেলতে পারব। প্রবল দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হতে হয়েছে। কিন্তু কখনও নিজের লক্ষ্য থেকে সরিনি। আর সেই লক্ষ্যটা ছিল, একদিন ভারতের হয়ে খেলব। যা খেলতে পেরেছিলাম।'' উল্লেখ্য, মাত্র ১৪ বছর বয়সেই দেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ চলে আসে রানির সামনে। ২০১০ সালে হকি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন। টুর্নামেন্টে ৭ গোলও করেছিলেন।