নটিংহ্যাম: বিশ্বকাপের আগুনে পেস-পরিপূর্ণ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫ রানে পরাস্ত করল অস্ট্রেলিয়া। এদিন ক্যাঙারুদের ২৮৮ রানের জবাবে ২৭৩ রানেই থেমে যায় ক্যারিবিয়ানদের লড়াই।
এদিন ট্রেন্টব্রিজে টসে জিতে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠান উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। শুরু থেকেই আগুনে পেস আক্রমণ দিয়ে অজিদের ফালা ফালা করতে থাকেন ক্যারিবিয়ান বোলাররা।  তিন রানের মাথায় ওয়ার্নারকে ফেরান কর্টেল। তারপর ফেরেন ফিঞ্চ, খোয়াজা। প্রথম ৮ ওভারে ৩৮ রানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। ৭৯ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অর্ধেক ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
সেই সময় দলের হাল ধরেন প্রাক্তন অধিনায়ক ও বহু যুদ্ধের ঘোড়া স্টিভ স্মিথ। ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়িয়ে ক্যারিবিয়ান আক্রমণকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। তাঁর ৭৩ রানের সুবাদেই প্রাথমিক বিপর্যয় কাটায় ব্যাগি গ্রিন ব্রিগেড।
স্মিথ আউট হওয়ার পর অজি ইনিংসকে একটি নির্ভরযোগ্য জায়গায় পৌঁছে দেন অলরাউন্ডার নাথান কুল্টার নাইল। ৬০ বলে অনব্য ৯২ রান করেন তিনি। মারেন ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা। বিশ্বকাপে এটাই কোনও আট নম্বর ব্যাটসম্যানের সর্বাধিক স্কোর। এছাড়া, ৪৫ রান করে অজি উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারে।
স্মিথ-কুল্টার নাইল যুগলবন্দি এবং ক্যারের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের ওপর ভর করে ২৮৮ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তিনটি উইকেট দখল করেন কার্লোস ব্রেথওয়েট। ২টি করে দখল করেন ওশ্যেন থমাস, শেল্ডন কটরেল ও আন্দ্রে রাসেল।
জবাবে, রান তাড়া করতে নেমে অজি পেস ব্যাটারির সম্মুখীন হতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের। ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। কামিন্সের বলে আউট হন ওপেনার লুইস। দুবার ভাগ্যের সহায়তা পেয়েও বড় রান করতে ব্যর্থ ক্রিস গেইল। ২১ রানে তাঁকে ফেরান মিচেল স্টার্ক।
তৃতীয় উইকেটে গুরুত্বপূ্র্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন শাই হোপ ও নিকোলাস পুরণ। পরে, হেটমেয়ার ও হোল্ডারের সঙ্গেও মাঝে ভাল পার্টনারশিপে অংশ নেন হোপ। কিন্ত, ৬৮ রান করে হোপ আউট হতেই ফের ধস নামে উইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে। কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন হোল্ডার। তিনি করেন ৫১ রান। যদিও তা যথেষ্ট ছিল না।
ক্যারিবিয়ান লোয়ার অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন মিচেল স্টার্ক। তাঁর আগুনে গতির সামনে এক এক করে আত্মসমর্পণ করেন হোল্ডার, রাসেল, ব্রেথওয়েট ও কটরেল। এদিন মোট পাঁচটি উইকেট নেন স্টার্ক। কামিন্স নেন দুটি। স্পিনার জ্যাম্পা একটি।