দলে ফিরে আসার পর প্রথম কয়েকটা ম্যাচে চেনা ছন্দে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না ওয়ার্নারকে। কিন্তু গত বুধবার জতীয় দলের নয়া পর্বের চতুর্থ ম্যাচে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ১১১ বলে ১০৭ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
বিশ্বকাপে আগামী শুক্রবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এবার কি প্রতিপক্ষ দলগুলি ওয়ার্নারের ফর্ম নিয়ে আতঙ্কে থাকবে, এই প্রশ্নের উত্তরে পন্টিং বলেছেন, আমি এমনটাই মনে করি। নিজের সেরা ফর্মে থাকলে ওয়ার্নার বিপক্ষের বোলার লাইন ও লেংথে সামান্য ভুল হলেই তার খেসারত দিতে হবে।
পন্টিং বলেছেন, প্রত্যেকটা ম্যাচেই প্রতিটা খেলোয়াড়ের সামনে ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকে। পাকিস্তান তাদের পরিকল্পনা সঠিকভাবে রূপায়ণ করতে না পারায় সুযোগ নিয়েছে ডেভিড। শ্রীলঙ্কাও ভালোমতো পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামবে বলে আমরা জানি। কিন্তু ওয়ার্নার সেরা ফর্মে থাকলে ওকে বোলিং করাটা কঠিন। আমি মনে করি, ও ওর সেরাটার কাছাকাছি চলে এসেছে।
অজি দলের সহকারী কোচ বলেছেন, এভাবে খেলতে থাকলে ওয়ার্নার এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোরার হতে পারে।
পন্টিং বলেছেন, দলে ফিরে মানিয়ে নেওয়াটা কঠিন কাজ ছিল ওর পক্ষে। এর আগে ওকে যেভাবে দেখতে অভ্যস্ত সে রকম সাবলীলভাবে খেলতে পারছিল না। এটা একেবারেই মানসিক ব্যাপার ছিল। ও কিছুটা ধরে খেলছিল এবং যে রকম অবাধভাবে ও খেলে, তেমনভাবে খেলছিল না। ও রান করার থেকে আউট হওয়া নিয়েই বেশি উদ্বেগে ছিল। এরপর ওয়ার্নারকে অস্ট্রেলিয়ার সাপোর্ট স্টাফরা বল দেখে স্বাভাবিক শট খেলার পরামর্শ দেন। আর সেইভাবে খেলে ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খুব ভালো শুরু করে এবং ৩০-৪০ ওভার ক্রিজে ছিল।
ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ৩৬ রানে হারের পর পন্টিং ওয়ার্নারের সঙ্গে কথা বলেন।