নয়া দিল্লি: বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্লে-অফ সেমিফাইনালে অপ্রত্যাশিতভাবে স্বপ্নভঙ্গ ইতালির। উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকেই বিদায় আজ্জুরিদের। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ইতালি। উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে হেরেই শেষ হল ইতালির বিশ্বকাপ মিশন।
পুরো ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে উত্তর মেসিডোনিয়ার স্ট্রাইকার আলেক্সান্দার ত্রায়কোভস্কির করা গোলেই বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন চুরমার হয় ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির। পালের্মোর স্তাদিও রেঞ্জো বারবেরায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রি প্লে-অফ ম্যাচে ইতালিকে ১-০ গোলে হারাল উত্তর মেসিডোনিয়া। চার বছর আগেও বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইতালি। ১৯৫৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বাদ পড়েছিল ইতালি।
এদিকে, এই ম্যাচের পরিসংখ্যান বিচার করলে দেখা যায়, ৬৬ শতাংশ সময় বল পায়ে রেখে মোট ৩২টি শট নিয়েছে ইতালি। প্রথমার্ধেই ছিল ১৫টি। সেখানে গোল তো দূরের কথা মাত্র ৫টি রাখতে পেরেছে লক্ষ্যে। তবে রক্ষণের ক্ষেত্রে ইতালিয়ান ফরোয়ার্ডদের আটকে রাখেন মেসিডোনিয়ার ডিফেন্ডাররা। প্রাথমিকভাবে ইতালি রক্ষণাত্মক খেললেও রবার্তো মানচিনির অধীনে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে।
যদিও মেসিডোনিয়া খেলতে থাকে তাদের ছন্দেই। আচমকা আক্রমণে করা এক গোলেই প্লে অফের ফাইনালে ওঠে মেসিডোনিয়া। ১৯৫৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয় ইতালি। সুইডেনের কাছে হেরে ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি সবশেষ ২০০৬ সালে শিরোপা জেতা দলটি। এবার স্বপ্ন ভাঙল পালের্মোতে।
ম্যাচ শেষে ইতালির মিডফিল্ডার জরগিনহো বলেন, "আমাদের কাছে বড় হতাশার। আমরা সবসময় ম্যাচে জেতার মুহূর্ত তৈরি করে গিয়েছি এবং বিপক্ষের ওপর আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছি। কিন্তু আমরা শেষ করতে পারিনি। বিশেষ করে কাউকে দোষারোপ করার সময় নয়। এটাই আসল বাস্তব। আমরা আমাদের কাজটি করতে পারিনি।" প্রসঙ্গত, চোট সমস্যার কারণে দুই ডিফেন্ডারকে ছাড়াই মাঠে নামে ইতালি। রক্ষণভাগ তাই কিছু হলেও সমস্যায় ছিল। এর পরে প্লে অফে মুখোমুখি হতে চলেছে পর্তুগাল ও মেসিডোনিয়া।