মুম্বই: সোমবার, ২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। জীবনে সুর ও সঙ্গীতের তাৎপর্য নিয়ে সর্বত্র চর্চা চলছে। সেই ধারায় পা মেলালেন সচিন তেন্ডুলকরও। নিজের প্রথম রেকর্ডিংয়ের স্মৃতি রোমন্থন করলেন মাস্টার ব্লাস্টার।


সোনু সুদের সঙ্গে 'স্যাচিন... স্যাচিন...' গান গাইতে শোনা গিয়েছিল মাস্টার ব্লাস্টারকে। গোটি বিশ্ব মুগ্ধ হয়ে শুনেছিল সচিনের গান। বাইশ গজে ব্যাট হাতে কীর্তিমানকে মাইক্রোফোনের সামনে সাবলীলভাবে গান গাইতে দেখে অবাক হয়েছিলেন সকলে।


সোমবার সোনু সুদের সঙ্গে সেই গানের রেকর্ডিংয়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সচিন। সেখানে তিনি বলেছেন, 'আমরা বাথরুম সিঙ্গার। তবে রেকর্ডিং রুমে গিয়ে দেখলাম আমার কন্ঠস্বর পাল্টে গিয়েছে।' সেই সঙ্গে সচিন বলেছেন, 'আমি যতদিন ক্রিকেট খেলেছি, দীর্ঘ সেই ৩৪ বছর সঙ্গীত আমার অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী ছিল।'


সচিনের গানের প্রশংসা করে সোনু বলেছেন, 'ও একেবারে সঠিক পিচে গেয়েছে। কোনও পিচ কারেক্টরের দরকার হয়নি।'


শনিবারই সচিনের সাফল্যের মুকুটে নতুন একটি পালক যোগ হয়েছে। স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার ও বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেলের সমীক্ষায় একুশ শতকের সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। এই দৌড়ে তাঁর খুব কাছেই ছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান কুমার সঙ্গাকারা। সাউদাম্পটনে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি ফাইনালের দ্বিতীয় দিনের চা-পানের বিরতির সময় সমীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলি উদযাপনের জন্যই ২১ শতকের সেরা ব্যাটসম্যান বেছে নেওয়ার এই অভিনব উপায় অবলম্বন করেছিল স্টার স্পোর্টস। এজন্য সুনীল গাওস্কর, ইয়ান বিশপ, হরভজন সিংহ, শেন ওয়াটসন, স্কট স্টাইরিস, গৌতম গম্ভীর ও প্রখ্যাত সাংবাদিক, কোচদের নিয়ে ৫০ সদস্যের বিচারকমণ্ডলী গঠন করা হয়েছিল। তারাই সচিনকে বেছে নিয়েছেন।


১৯৮৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এসেছিলেন সচিন। সব আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলিয়ে ৩৪৩৫৭ রান করেছেন। ২০০ টেস্টে ১৫৯২১ রানের পাশাপাশি ৪৬৩টি একদিনের ম্যাচে ১৮৪২৬ রান করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। টেস্টে ৫১টি ও একদিনের ম্যাচে ৪৯টি শতরান করেছিলেন সচিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরানের মোট সংখ্যা ১০০।