নয়াদিল্লি: দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধান ব্রিজভূষণ সিংহের (Brij Bhusan Singh) বিরুদ্ধে কুস্তিগীররা বিক্ষোভ (Wrestlers Protest) করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনন্থার অভিযোগ আনা রয়েছে। কিন্তু এই বিক্ষোভ সম্প্রতি এক সম্পূর্ণ নতুন মোড় নিয়েছে। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো সাত মহিলা কুস্তিগীরদের মধ্যে একজন নাবালিকাও রয়েছেন। খবর অনুযায়ী সে নাকি নিজের বয়ান বদলে দিয়েছে।


বয়ান বদল


এর আগে দু'দফায়, একবার পুলিশের সামনে ও একবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজের বয়ানে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও স্টকিংয়ের অভিযোগ এনেছিল সেই নাবালিকা। সেই ভিত্তিতেই কুস্তি সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে পকসো আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৫৪ এ, ৩৫৪ ডি এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। কিন্তু ১৭ বছর বয়সি নাবালিকা বর্তমানে নিজের বয়ান বদলে নিয়েছে। সে ১৬৪ ধারার অধীনে এক নতুুন বয়ান দিয়েছে যেখানে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলি তুলে নেওয়া হয়েছ। এবার কোর্টের তরফে নির্ধারিত করা হবে ১৬৪ ধারায় রুজু কোন মামলাকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হবে।


এই ঘটনায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবি রেবেকা জন বলেন, 'আমি একেবারেই অবাক নই। এইসব ঘটনায় অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে, অভিযোগকারীদের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েই থাকে। এই ধরনের ঘটনাগুলি খুবই হতাশাজনক। মহিলারা এমন ক্ষেত্রে কিন্তু নিজেদের জীবন, জীবিকা, কেরিয়ার বাজি রেখেই অভিযোগটা জানান।'


সরে দাঁড়ালেন সাক্ষী?


এরই মধ্যে গতকাল শোনা যাচ্ছিল রেলের কাজে ফিরেছেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik)। তিনি কুস্তিগীরদের আন্দোলন থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন বলে খবর রটেছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পরেই সাক্ষী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছিল। তবে অলিম্পিক্সে পদকজয়ী কুস্তিগীর নিজে অবশ্য় সেই খবর উড়িয়ে দিয়েছেন।


তিনি গোটা বিষয়টা ভুয়ো বলে দাবি করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'এই খবরটি সম্পূর্ণ ভুল। ন্যায়ের জন্য এই লড়াই থেকে না আমাদের কেউ পিছিয়ে এসেছি, না পিছিয়ে আসব। আমরা সত্যাগ্রহ চালিয়ে যাব পাশাপাশি রেলের কাজেও যোগ দিয়েছি। যতদিন না ন্যায় পাচ্ছি, ততদিন এই লড়াই চালিয়ে যাব। দয়া করে কেউ কোনও ভুল খবর প্রচার করবেন না'। এই আন্দোলন এবার কোনদিকে এগোয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।


আরও পড়ুন: মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড