নয়াদিল্লি : ধর্না-মঞ্চে বিছানা বিছানো নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। যা গড়াল পুলিশের (Police) সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ধাক্কাধাক্কিতে। হেনস্থার অভিযোগ তুলে তারপর কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করা কুস্তিগীররা। 'আসামী নই আমরা' দাবি তুললেন তাঁরা। কান্নায় ভেঙে পড়ে বিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat) বললেন 'এই দিন দেখার জন্য দেশের হয়ে মেডেল জিতেছি ?'
এদিকে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরে পুলিশ যন্তর মন্তরের ধর্নামঞ্চের এলাকা সিল করে দিয়েছে, যাতে সেখানে বাইরের কেউ ঢুকতে না পারে। প্রসঙ্গত, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রা, অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ একাধিক বিরোধী নেতা-নেত্রীরা ইতিমধ্যে যন্তর-মন্তরে গিয়ে প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
এক পুলিশকর্মী মদ্যপ অবস্থায় একাধিক প্রতিবাদী কুস্তিগীরকে হেনস্থা করেছেন বলেই বিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়াদের অভিযোগ। রাতে ঘুমোনোর জন্য ম্যাট্রেস পাতার সময় হঠাৎই এক পুলিশকর্মী তাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। যারপরই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। বিনেশের অভিযোগ, কোনও মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলা কুস্তিগীরদের ধাক্কা দেওয়া হয়। হেনস্থা করা হয়। যারপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। পাল্টা পুলিশের অভিযোগ, আপ বিধায়ক ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গীরা ধর্নাস্থলে হুজ্জুতি করায় কয়েকজনকে আটকে করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে দিল্লির যন্তর-মন্তরে (Jantar Mantar) ধর্না-প্রতিবাদে বসেছেন দেশের একঝাঁক কুস্তিগির। কুস্তিতে মি-টু অভিযোগে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা দেশ। কাঠগড়ায় জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্ট তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ (WFI Chief)। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে যন্তর মন্তরে একজোটে আওয়াজ তুলছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন থেকে অলিম্পিয়ানরা। তাতেও তেমন কোনও হেলদোল নেই ব্রিজভূষণের।কুস্তি সংস্থার সভাপতির পদ তো ছাড়লেনই না, উল্টে তাঁর দাবি, যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি রাজনীতির শিকার। ইতিমধ্যে অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে, পকসো ধারা সহ এফআই আর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
তবে শুধুমাত্র রাজনীতিবিদরাই নন, বিশ্বস্তরে দেশকে একাধিক পদক ও সম্মান এনে দেওয়া কুস্তিগীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের একাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রীড়াব্যক্তিত্বরাও।
আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে চুলের পাশাপাশি কীভাবে যত্ন নেবেন স্ক্যাল্পের? রইল কিছু সহজ টিপস