সোমনাথ দাস, দাসপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর) : এ যেন উলটপুরাণ ! রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই ক্ষমতায় তৃণমূল (TMC)। কার্যত 'মাথা তোলার' পরিসরটুকুও নেই অধিকাংশ বিরোধীদলের। অথচ এই ভরা মরসুমেই তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিলেন একাধিক নেতা। দাসপুরের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে। শুক্রবার দাসপুর (Daspur) থানার ২ নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর বুথের তৃণমূল সভাপতি শেখ শোভান আলি এবং ওই বুথেরই সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন হাতে তুলে নিলেন লাল ঝান্ডা। বামফ্রন্ট নেতা শেখ নজরুল ইসলাম ও শেখ হাসিবুল তাঁদের হাতে সিপিএমের পতাকা তুলে দেন।


কেন তৃণমূল ত্যাগ ?


কিন্তু, কেন তৃণমূল ছাড়লেন ? দলত্যাগী বুথ সভাপতির বক্তব্য, এলাকার কিছু তৃণমূল নেতার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের বাস্তব রূপ দেওয়া যাচ্ছে না। স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না দাসপুর ২ এর অধিকাংশ নেতাই। তাঁরা দলের মধ্যে থেকে হাঁফিয়ে উঠছিলেন। তাই দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।


আরও পড়ুন ; খানাখন্দে নিত্যদিন দুর্ঘটনা, বেহাল রাস্তা হাল ফেরাতে পথে নামল স্কুল পড়ুয়ার


সিপিএমে যোগদানকারী এই দুই নেতার দাবি, তৃণমূলে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। তাই শুধু তাঁরা নন, তাঁদের সঙ্গে আরও ২০০ জন সক্রিয় কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে ছেড়ে বাম শিবিরে যোগদান করেছেন । শুক্রবার দাসপুরের বিষ্ণুপুর রাজার মোড়ে বামেদের ডাকা একটি সভায় যোগদান করেন এই নেতা-কর্মীরা।


প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিলীপ ঘোষ থাকাকালীন খড়গপুরে বিজেপিতে ভাঙন ধরে। তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি যুব মোর্চার প্রায় ২০০ জন সদস্য। খড়গপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটের প্রচার করছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেইসময় ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের যোগদান মেলায় হাজির হন বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার উপস্থিতিতে তাঁরা শাসকদলে নাম লেখান।


বিজেপিত্যাগীদের দাবি জানান, বিপদে পাশে দাঁড়ানোয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তৃণমূল নেতৃত্বের কটাক্ষ করে বলেছিলেন, দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে এলেই দল ছাড়বেন বিজেপি কর্মীর।