ওভাল: শুরুতেই বেগ দিয়েছিল ভারত। সিরাজ, শার্দুলরা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ২ অজি ওপেনারকে। এরপর লাবুশেনকেও ফিরিয়ে দেন শামি। কিন্তু ৩ উইকেট হারালেও চাপ বাড়েনি অস্ট্রেলিয়া। তার সৌজন্য ট্রাভিড হেড ও স্টিভ স্মিথের লড়াই। প্রথম জন অপরাজিত অর্ধশতরান হাঁকালেন। দ্বিতীয় জন তাঁর অর্ধশতরানের পথে এগােচ্ছেন। চা পানের বিরতিতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান বোর্ডে তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরই শামির বলে বোল্ড হয়ে যান। তিনি ফেরেন ৬২ বলে ২৬ রান করে। স্মিথের সঙ্গে এরপর জুটি বাঁধেন হেড। এদিন শুরু থেকেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন বাঁহাতি অজি ব্যাটার। তিন উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে অস্ট্রেলিয়া, ঠিক সেই সময় একটি বড় পার্টনারশিপই দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। হেড এসে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্য়াটিংয়ের পন্থ অবলম্বন করেন। স্মিথের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দেন। টেস্টে ওয়ান ডে-র গতিতে ব্য়াটিং করে ৬১ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন হেড। শার্দুল ঠাকুরকে একটি ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অর্ধশতরানের গণ্ডি পেরিয়ে যান হেড। স্মিথও উল্টোদিকে ক্রিজে সেট হচ্ছিলেন। সিরাজ, শামিদের কোনও প্রলোভনেই পা দেননি প্রাক্তন অজি অধিনায়কের। শেষ পর্যন্ত চা পানের বিরতি পর্যন্ত ৬০ রানে অপরাজিত রয়েছেন ট্রাভিস হেড। ৩৩ রানে ব্যাটিং করছেন স্মিথ।
এর আগে, এদিন ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। অজি ওপেনার জুটি উসমান খাওয়াজা ও ডেভিড ওয়ার্নার নেমেছিলেন ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে। বাঁহাতি অজি ওপেনার খাওয়াজা গোটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত ব্য়াটিং করেছিলেন। কিন্তু এদিন সিরাজের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন খাতা খোলার আগেই। বোর্ডে ২ রান তুলতেই অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম উইকেট হারায়। খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান খাওয়াজা। এরপর লাবুশেনকে নিয়ে ওয়ার্নার দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
ওয়ার্নারের কাছে এই ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল নিজের জায়গা দলে পাকা করার জন্য। এদিন শুরুটাও দুর্দান্ত করেছিলেন। উমেশ যাদবকে এক ওভারে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। অর্ধশতরানের থেকে সাত রান দূরে থেমে যান অভিজ্ঞ অজি ওপেনার। ৪৩ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। শার্দুল ঠাকুরের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে বল ওয়াইড লেংথে বল পুল মারতে গিয়ে খোঁচা লাগিয়ে দেন। উইকেট কিপার ভরত তাঁর ডানদিকে ঝাঁপ দিয়ে ক্যাচ লুফে নেন।