লন্ডন: দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল (WTC Final)। মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (Ind vs Aus)। ওভালে ম্যাচ শুরু ৭ জুন। চলবে ১১ জুন পর্যন্ত। তার আগে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া, দুই দলই ইংল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছে। জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে অনুশীলনও।
তবে টিম ইন্ডিয়ার অনুশীলনে অভিনবত্বের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে। কীরকম সেই অভিনবত্ব?
ভারতের ফিল্ডিং প্র্যাক্টিসের সময় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শুভমন গিলদের দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের বলে ক্যাচিংয়ের অনুশীলন করতে। কখনও লাল বল, তো কখনও সবুজ বা নীল বলে ক্যাচ ধরছেন ক্রিকেটারেরা। বলগুলি আবার রাবারের। তুলনামূলকভাবে নরম। হাতে পড়ে বাউন্স বেশি করে।
জানা গিয়েছে, এর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত কারণ। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ফিল্ডিং কোচ হিসাবে কাজ করেছেন, এরকমই একজন নাম প্রকাশ করা যাবে না এই শর্তে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'এই বলগুলি বিশেষ রাবারের তৈরি। গলি ক্রিকেটে যে ধরনের বল দেখা যায়, তা নয়। ফিল্ডিং অনুশীলনের জন্য এই বল তৈরি করা হয়। এই বলগুলিকে বলা হয় রিঅ্যাকশন বল। বিশেষ কিছু দেশে এই বলে ফিল্ডিং প্র্যাক্টিস করানো হয়। যেমন ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে। যেখানে হাওয়া বেশি দেয়। সঙ্গে ঠান্ডা থাকে। তাই বল শেষ মুহূর্তে বাঁক খেতে পারে। রঙিন বলে ক্যাচিং অনুশীলন করলে রিফ্লেক্স অনেক ভাল হয়। এতে শেষ মুহূর্তে ধোঁকা খাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। বিশেষ করে স্লিপ ও উইকেটের পিছনের ক্যাচিংয়ের অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা হয়।'
চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে মগ্ন ভারত ও অস্ট্রেলিয়া, দুই দলই। সেই সঙ্গে জোর আলোচনা চলছে, দুই দলের প্রথম একাদশ কেমন হবে তা নিয়ে। বিশেষ করে ভারতীয় দলের বেশ কয়েকটি নির্বাচনী জটিলটা নিয়ে চলছে চর্চা। কে এস ভরত নাকি ঈশান কিষাণ? আর অশ্বিন নাকি রবীন্দ্র জাডেজা?
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম কোচ তথা নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেত্তোরি বলেছেন, 'আমরা ভারতের বোলিং নিয়ে আলোচনা করছি। আমি মনে করি, জাডেজাই খেলবে। কারণ ও ব্যাটিংটা অনেক ভাল করে। ছয়ে নেমে সফল হয়েছে। দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে। ফলে জাডেজাই এগিয়ে থাকবে।' তিনি যোগ করেছেন, 'তা হলে প্রশ্ন হল, চতুর্থ পেসার এবং অলরাউন্ডার (শার্দুল) ঠাকুর এবং অশ্বিনকে ঘিরে। ওরা (দু'জনেই) দলে থাকার দাবিদার।'
আর অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজা দুজনই ভারতে অনুষ্ঠিত বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। তাঁরা যথাক্রমে ২৫ এবং ২২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মনে করে যে, ভারতের টিম কম্বিনেশনের কারণে একাদশে নাও থাকতে পারেন অশ্বিন।