বেঙ্গালুরু: নাম যশস্বী জয়সওয়াল। বয়স ১৭ বছর ২৯২ দিন। এই মুহুর্তে ভারতীয় ক্রিকেট তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেও যশস্বী এক বিস্ময়ের নাম। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ১৫৪ বলে ২০৩ রানের একটি অত্যাশ্চর্য্য ইনিংসে খেলেছে মুম্বইয়ের এই তরুণ তুর্কি। বিগত চার ম্যাচে ব্যাটে রান আসছিল, পরপর অর্ধশতরানের ইনিংসও এসেছিল যশস্বীর ব্যাট থেকে। বল হাতেও এসেছে উইকেট। তবে শতরানের মুখ দেখেনি মুম্বইয়ের এই ওপেনার। অবশেষে শেষ হল সেই প্রতীক্ষার। বেঙ্গালুরুতে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে দ্বিশতরানের ইনিংস খেলল যশস্বী। ভারত তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটে যশস্বীই তরুণ ক্রিকেটার, যার দখলে এল দ্বিশতরান।


সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সহবাগ, রোহিত শর্মা, শিখর ধবন, কেভি কৌশল, সঞ্জু স্যামসনের পর সপ্তম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিশতরানের নজির গড়ল যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বাধিক তিনটি দ্বিশতরানের রেকর্ড রয়েছে আরও এক মুম্বইকর রোহিতের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও সর্বোচ্চ স্কোর এবং সর্বাধিক দ্বিশতরানের মালিকও তিনি। রোহিত ছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিশতরান রয়েছে সচিন রমেশ তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র সহবাগের। দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিরুদ্ধে একটি অনুশীলন ম্যাচে দ্বিশতরান (২৪৮) রয়েছে শিখরের। বিজয় হাজারে ট্রফিতে দিন কয়েক আগেই দ্বিশতরান করেছেন সঞ্জুও। তিনি দ্রুততম দ্বিশতরানের রেকর্ড করেছেন। সেই তালিকায় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে নাম নথিভুক্ত করল যশস্বী।


ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে তার অত্যাশ্চর্য ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি ওভার বাউন্ডারিতে। রয়েছে ১৭টি বাউন্ডারি। নিজের পারফরম্যন্সের প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার ওয়াসিম জাফরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে যশস্বী। মুম্বইয়ের এই অলরাউন্ডার সংবাদমাধ্যমকে বলে, “আমি অর্ধশতরানের ইনিংসগুলো শতরানে রূপান্তরিত করতে পারছিলাম না। ৭০, ৮০ করে রান করছিলাম, উইকেটও পাচ্ছিলাম কিন্তু শতরান আসছিল না। তারপর আমি দেখি ওয়াসিম স্যার এখানে শতরান করেছে। আমি তাঁকে ব্যাট করতে দেখে অনেকটা শিখেছি। ওয়াসিম স্যার সিঙ্গল নিয়ে খেলছিলেন এবং খারাপ ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যেগুলোতে তিনি বাউন্ডারি মেরেছেন। খেলা শেষে তিনি আমাকে বলেন, কোথায় কী শট খেলতে হবে। আমি সেই পরামর্শ মাথায় রেখেছিলাম”। প্রসঙ্গত, যশস্বী এ পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলেছে। এই ৫ ইনিংসেই ওর ঝুলিতে এসেছে ৫৮৫ রান। তামিলনাড়ুর বাবা অপরাজিতকে টপকে এই মু্ম্বইকরই এখন চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক।