ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ইংল্যান্ড। অ্যালেক্স হেলস ১৪ রান করে যশপ্রীত বুমরাহর বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গিয়েছেন। এখন ক্রিজে জেসন রয় (২১) ও জো রুট (২৭)। ১১ ওভারের শেষে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৭০।
যুবরাজ ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর এই প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে শতরান করলেন। তিনি ১৫০ রান করে ক্রিস উকসের চতুর্থ শিকার হলেন। একদিনের ম্যাচে এটাই যুবরাজের সর্বোচ্চ স্কোর। দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরেই নিজেকে প্রমাণ করলেন যুবরাজ।
যুবরাজের পাশাপাশি ধোনিও ফর্মে ফিরেছেন। তিনিও শতরান করলেন। ধোনি শেষপর্যন্ত ১৩৪ রান করে লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে ডেভিড উইলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন। গত ম্যাচের নায়ক কেদার যাদব ১০ বলে ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে প্লাঙ্কেটের বলে জেক বলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। হার্দিক পাণ্ড্য ৯ বলে ১৯ রানের ছোট্ট কিন্তু ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেন। রবীন্দ্র জাডেজা ৮ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন।
এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। উকসের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে দারুণ শুরু করেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু ৫ রান করার পরেই উকসের বলে খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো বেন স্টোকসের হাতে ধরা পড়েন রাহুল। তিন নম্বরে নামেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৮)। তিনি দুটি বাউন্ডারি মেরে দর্শকদের বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। রাহুলের মতোই উকসের বলে দ্বিতীয় স্লিপে স্টোকসের হাতে ধরা পড়েন বিরাট। এরপর উকসের তৃতীয় শিকার হন শিখর ধবন (১১)। তিনি বোল্ড হয়ে যান।
২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় ভারত। সেই জায়গা থেকে দলকে ভরসা দেন যুবরাজ ও ধোনি। এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের হাত ধরেই বরাবটি স্টেডিয়ামে ঘুরে দাঁড়াল ভারত। বিশাল স্কোর করার পর আজই তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার পথে ভারত।