মুম্বই: টিম ইন্ডিয়ার সার্বিক ফিটনেসের মান বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। বোর্ড সূত্রে খবর, ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়াতে এবার বহুল-প্রচলিত ‘ইয়ো-ইয়ো’ টেস্টের পাস মার্কস এখনকার ১৬.১ থেকে বাড়িয়ে ১৭ করতে চাইছেন শাস্ত্রী ও তাঁর সাপোর্ট স্টাফরা। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন সফরের আগেই যোগ্যতার এই নতুন মানদণ্ডকে কার্যকর করা হবে।
কী এই ‘ইয়ো-ইয়ো’ টেস্ট?
আদতে ‘ইয়ো-ইয়ো’ টেস্ট হল বিপ টেস্টের একটি সংস্করণ। অতীতে ফিটনেস যাচাইয়ের জন্য ক্রিকেটারদের দৌড়ানো সহ একটি অ্যারোবিক ফিটনেস রুটিনের মধ্যে দিয়ে যেতে হত। ছোট করে তাকে বিপ টেস্ট বলা হত। বর্তমানে, বিপ টেস্টের জায়গায় এখন ‘ইয়ো-ইয়ো’ টেস্ট করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই, এটা বিপ টেস্টের চেয়ে বেশি কষ্টসাধ্য। টেস্টটি বিভিন্ন লেভেলে বিভক্ত।
এর অন্তর্গত, ২০ মিটার ব্যবধানে দুটি কোণ-জাতীয় বস্তু বসানো থাকে। ‘বিপ’ শব্দ শোনা মাত্রই একজন ক্রিকেটারকে এক কোণ থেকে অপরদিকে দৌড়ে যেতে হয় দ্বিতীয় বিপ হওয়ার আগে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সেখান থেকে আবার ঘুরে শুরুর কোণে আসতে হয়। একে বলা হয় ‘শাটল’। অর্থাৎ, একটি শাটল-এ মোট ৪০ মিটার দৌড়তে হয়। প্রতিবার, এই দুই বিপ-এর ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হয়। অর্থাৎ, দুই বিপের মধ্যের সময় কমানো হয়। ফলত, দৌড়ের গতি ক্রমশ বাড়াতে হয় ক্রিকেটারদের।
প্রথমে দৌড় শুরু হয় স্পিড লেভেল ৫-এ। এই ভাগে একটি শাটল থাকে। পরের বার স্পিড বাড়িয়ে ৯ করা হয়। এখানেও একটি শাটল থাকে। পরের বার (স্পিড লেভেল ১১) দুটি শাটল থাকে। এরপর আসে লেভেল ১২ ও লেভেল ১৩। এক্ষেত্রে যথাক্রমে তিনটি ও চারটি করে শাটল থাকে। ১৪-র ওপরে লেভেলে আটটি করে শাটল থাকে।
বর্তমানে সর্বোচ্চ লেভেল হল ২৩। এখানেই দৌড়ের গতি সর্বাধিক রাখতে হয় ক্রিকেটারদের। এক-একটি শাটল সম্পন্ন করার পর মাত্র ১০ সেকেন্ডের বিরতি পান ক্রিকেটাররা। কোনও ক্রিকেটার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শাটল সম্পন্ন করতে না পারলে তাঁকে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়। একজন ক্রিকেটার কতটা দৌড় অতিক্রম করলেন, তা প্রত্যেক লেভেলের গড়কে যোগ করে নির্ধারণ করা হয়।
সাধারণত, এই টেস্টে ঊত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন পয়েন্টকে মানদণ্ড রাখে ভিন্ন দল। বর্তমানে ভারত ১৬.১ পয়েন্টকে যোগ্যতার মানদণ্ড হিসেবে রেখেছে। অর্থাৎ, স্পিড লেভেল ১৬-তে একজন ক্রিকেটারকে প্রথম শাটল সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে। যার অর্থ ওই ক্রিকেটার মোট ১১২০ মিটার অতিক্রম করেছেন বলে ধরা হবে। সেই জায়গায় পাকিস্তান তাদের ক্রিকেটারদের জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি রেখেছে ১৭.৪। ওয়েস্টে ইন্ডিজের ক্ষেত্রে তা ১৯। নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে তা সর্বাধিক ২০.১।
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার আশীস নেহরা বলেন, সাধারণত, সব ক্রিকেটার ১৬.১ অতিক্রম করে থাকে। হার্দিক পাণ্ড্য ১৯-এ পৌঁছতে পেরেছে। মণীশ পাণ্ডে ১৯ করেছে। জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের আগে আমি নিজে ১৮.৫ পেয়েছি।