কলকাতা: ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ইউসুফ পাঠান। দেশের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাশাপাশি ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। অবসরের দিন সমর্থকদের জন্য আবেগপূর্ণ বার্তা লিখলেন সিনিয়র পাঠান। এবং জানালেন, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ের রাতে সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে চাপিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করা তাঁর ক্রিকেটীয় কেরিয়ারের অন্যতম সেরা স্মৃতি।


সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠান লিখেছেন, ‘দেশের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জয় এবং সচিন তেন্ডুলকরকে কাঁধে চাপানো আমার ক্রিকেটীয় কেরিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। এমএস ধোনির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অভিষেক হয়েছিল, শেন ওয়ার্নের নেতৃত্বে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল। রঞ্জি অভিষেক হয়েছিল জেকব মার্টিনের অধিনায়কত্বে। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার দিন তিনজনকেই ধন্যবাদ জানাই। আমার দক্ষতায় আস্থা রাখার জন্য।’



দেশের হয়ে ৫৭টি একদিনের ম্যাচ খেলে ৮১০ রান করেছেন ইউসুফ। রয়েছে দুটি শতরান এবং তিনটি অর্ধশতরান। বল হাতে নিয়েছেন ৩৩টি উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে খেলেছেন ২২টি ম্যাচ। ২৩৬ রানের পাশাপাশি ১৩টি উইকেট রয়েছে তাঁর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০টি ম্যাচ খেলেছেন ইউসুফ। ৪৮২৫ রান করেছেন। বল হাতে নিয়েছেন ২০১টি উইকেট। আইপিএলে প্রথমবারের জয়ী রাজস্থান রয়্যালস দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এর পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে আইপিএল জিতেছেন। ইউসুফের অবসরের পর তাঁর ভাই তথা জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা ইরফান ট্যুইট করেছেন, ‘তুমি চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার ছিলে। বোলাররা তোমাকে ভয় পেত।’



বঢোদরার ইউসুফের অবসরের দিনই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন কর্নাটকের পেসার বিনয় কুমারও। একসময় দুজনই কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন। কর্নাটকের অধিনায়ক হিসাবে দুবার রঞ্জি ট্রফি জিতেছেন বিনয়। দেশের হয়ে ৩১টি একদিনের ম্যাচ, ৯টি টি-টোয়েন্টি এবং ১টি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৯টি উইকেট নিয়েছেন বিনয়। ২০১৮ সালে ১০০তম রঞ্জি ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিনয়ের ঝুলিতে রয়েছে ৭২৯ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুটো সেঞ্চুরিও রয়েছে বিনয়ের।